বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ তারিক হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান অজ্ঞাত মামলায় তার পদন্নোতি স্থগিত রাখায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান জানান, বেরোবি উপাচার্য ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩ মার্চে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কমকর্তা-কর্মচারীদের ‘অনশন-মঞ্চে’ বহিরাগত দুষ্কৃতকারীরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে, ‘শিক্ষক লাঞ্ছনার’ প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মুখস্থ রাস্তায় নামলে পুলিশি প্রতিরোধের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম ওইদিনই অজ্ঞাতনামা ১৫০/২০০ জনের নামে রংপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে কারো নাম উল্লেখ নেই, সন্দিগ্ধ হিসেবে কেউ গ্রেফতার হননি অথচ ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৪৫তম সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের যুগ্ম-সদস্য সচিব এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান বিরুদ্ধে উল্লিখিত মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তার পদোন্নতি স্থগিত রাখা হয়েছিল। এতে সম্মান ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তাবিউর রহমান প্রধান এ মামলা করেছেন।

কথা বললে বাদী পক্ষের আইনজীবী মুনির চৌধুরী বলেন, আগামী ১১ মে উপাচার্যের বিরুদ্ধে করা মামলাটির রংপুর সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে আইনি শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী ২০১৩ সালের ৬ মে বেরোবিতে উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। আগামীকাল শুক্রবার (৫ মে) তার মেয়াদ শেষ হবে।

(ওস/এসপি/মে ০৪, ২০১৭)