লালমনিরহাট প্রতিনিধি : মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে লালমনিরহাটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মোটর মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো।

শুক্রবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন মোটর মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতা-কর্মীরা ও পরিবহন চালকেরা।

মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে মোটরগাড়ি ও বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটের কারণে আন্তর্জাতিক বুড়িমারী স্থলবন্দর ও লালমনিরহাট থেকে যাত্রীবাহী ঢাকাগামী কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আঞ্চলিক রুটের যাত্রী বহনকারী বাস চলাচলও বন্ধ রয়েছে। পণ্য পরিবহনের ট্রাক চলাচলও বন্ধ রয়েছে। ফলে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে নিত্যপণ্যের সংকটে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি আতঙ্কে আছেন সাধারণ ক্রেতারা। অপরদিকে যাত্রী দুর্ভোগও চরম আকার ধারণ করেছে। তবে আন্তঃউপজেলা বা স্থানীয়ভাবে যাতায়াতের জন্য কেবল ইজিবাইকে চলাচল করছেন কিছু সংখ্যক যাত্রী।

লালমনিরহাট জেলা মোটর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের নামুড়ী থেকে পলাশী বাজার ও মহেন্দ্রনগর থেকে বড়বাড়ী বাজার পর্যন্ত মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলের অনুপোযোগী। প্রতিদিন গাড়ি উল্টে গিয়ে পণ্যসামগ্রীসহ পরিবহনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। কোনো চালকই ওই পথে যেতে রাজি হচ্ছে না। মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের জন্য এ কর্মসূচি চলছে।’

মহাসড়ক চলাচলের জন্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট বাস মালিক সমিতির নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদার ও লালমনিরহাট সড়ক বিভাগের গাফিলতির কারণে কয়েক কিলোমিটার মহাসড়ক সংস্কার হচ্ছে না। রাস্তায় বড় বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গাড়ি চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে চাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়েই ধর্মঘটের কর্মসূচি দিয়েছি।’

এদিকে লালমনিরহাটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে চলাচলকারী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টধারী যাত্রীসহ আমদানি-রপ্তানি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

লালমনিরহাট বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি পালন করছি ও পরিবহন মালিকেরা ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান ধর্মঘটের বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে বলেন, ‘নামুড়ী থেকে পলাশী বাজার পর্যন্ত মহাসড়ক সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামান্য রাস্তা খারাপের জন্য তো পরিবহন ধর্মঘটের কিছু দেখছি না। এরপরও বিষয়টি দেখছি আপনি পরে ফোন দেন।’

(ওএস/এএস/মে ০৫, ২০১৭)