কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে দ্রুত সেবা প্রদান করার জন্য কুড়িগ্রামে ৭২টি ইউনিয়ন এবং ৩টি পৌর সভার সেবা কেন্দ্রে এখন ১৮ থেকে ২০ ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে আরও ১০/১২টি সেবা যোগ হবে বলে জানা গেছে। পাবলিক সার্ভিস সপ্তাহ উপলক্ষে শনিবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ। পাবলিক সার্ভিস উপলক্ষে ২১ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রেস কনফারেন্সে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসনে আজাদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পনির উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার মধুসুধন রায়, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মন্ডল মঞ্জু, জেলা তথ্য অফিসার নুরন্নবী খন্দকার, জীবিকার পরিচালক মানিক চৌধুরী, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, , প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: শাহাবুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ, সাংবাদিক সফি খান, আহসান হাবীব নীলু, রাজু মোস্তাফিজ, হুমায়ুন কবির সুর্য্য, রেজাউল করিম রেজা, লাইলী বেগম, মোল্লা হারুন, জহুরুল হক,নাজমুল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি প্রমুখ। ইউনিয়ন তথ্য সেবা কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী কমিশনার (আইসিটি) সামিউল আমিন।
এসব সেবা প্রদানে ৭২টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌর সভার তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে কম্পিউটার/ ল্যাপটপ, ইন্টারনেট সংযোগ, প্রিন্টার ও ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের আগ্রহে এসব যন্ত্রপাতির বাইরে ফটোকপি মেশিন, স্ক্যানার, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, লেমিনিটিং মেশিন সংগ্রহ করা হয়েছে। আগ্রহী মানুষ এর মধ্যেমে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ইমেইল সুবিধা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, ছবি তোলা ও স্ক্যানিং, ফটোকপি, ভিডিও চ্যাটিং, মোবাইল ফোন ব্যবহার, কার্ড বিক্রি ও রিচার্জ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ভাড়া নিতে পারছে। জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে একসেস টু ইনফরমেন (এটুআই) প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ সেবা নিশ্চিত করতে যে সকল প্রতিকূলতা চিহ্নিত হয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
এক তথ্যে জানানো হয়, প্রতিমাসে গড়ে ৪৫ হাজার মানুষ ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্রে সেবা নিতে আসে। বিশেষ করে ব্যাংকিং, পরীক্ষার ভর্তি ফরম পুরণ, জন্ম নিবন্ধন সনদ, চাকরীর বিজ্ঞপ্তি, জমির পর্চা, দলিল, খতিয়ান, বিদেশে লোক পাঠানোর রেজিষ্ট্রেশন, দুস্থ মানুষের হালনাগাদ তালিকা, সকল বোর্ড পরীক্ষার তথ্যাদি মানুষ সহজে জানতে পারছে। ভবিষ্যতে ভূমি জরীপের কাজ অনলাইন আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়।
(এআরএ/এএস/জুন ২১, ২০১৪)