স্টাফ রিপোর্টার : দেশের প্রাইভেট ও গণপরিবহন খাতে ভুয়া লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন চালকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে দশ লাখ। যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব, দক্ষ ড্রাইভার তৈরির উদ্যোগই না থাকা, লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও ত্রুটি ইত্যাদি কারণে এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’র (বিআরটিএ) হিসাবে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরযানের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৪ হাজার ২১৩ হলেও লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫১ হাজার ২৮০। অর্থাৎ, ভুয়া লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্সবিহীন চালকরা চালাচ্ছে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৩টি নিবন্ধিত যানবাহন!

বিআরটিএ’র হিসাবে, দেশে ভারী যানবাহন এক লাখ ৯১ হাজার ৭৬টি। প্রতিটি ভারী যানে দু’জন চালকের হিসেবে ভারী যানবাহনের জন্য চালকের প্রয়োজন প্রায় তিন লাখ ৯২ হাজার। কিন্তু লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক রয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৭২১ জন। ঘাটতি প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার।

অন্যদিকে নিবন্ধিত মধ্যম মানের যানবাহনের সংখ্যা ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১২। এ শ্রেণিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা ৬৮ হাজার ২১৬।

নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১৮ লাখ চার হাজার ৮৩৪ জন হলেও লাইসেন্সধারী মোটরসাইকেল চালক মাত্র ছয় লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৫ জন। ১১ লাখ মোটরসাইকেল চলছে বৈধ চালক ছাড়াই। অন্যদিকে নিবন্ধিত তিন চাকার গাড়ি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৯টি হলেও লাইসেন্সধারী চালক ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।

এছাড়া, সারাদেশে ইজিবাইক, নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ অনিবন্ধিত তিন চাকার যানবাহন রয়েছে ১৪ লাখের বেশি। এগুলো কোনো নিয়ম-নীতি ছাড়াই চলছে। লাইসেন্স ছাড়াই এসব অনিবন্ধিত যানবাহন চলছে।

জানাগেছে, দক্ষ চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ঘাটতি রয়েছে। সারাদেশে বিআরটিএ অনুমোদিত ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা মাত্র ৯৮। এর মধ্যে মাত্র ১৭টি বিআরটিসির। বাকিগুলো বেসরকারি।

(ওএস/এসপি/মে ০৬, ২০১৭)