স্টাফ রিপোর্টার : মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেছেন, ‘যারা ধর্ষণের শিকার হন, তাদেরকে সাহস করে মুখ খুলতে হবে, ধর্ষণের বিচার চাইতে হবে। ধর্ষণ এখন একটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ধর্ষণকে খুব স্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশে এটা আমরা মেনে নেব না।’

শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সারাদেশে একের পর এক ধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদে শাহবাগে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে গণজাগরণ মঞ্চ।

সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘তনু নামের মেয়েটি একটি সংরক্ষিত এলাকায় ধর্ষিত হল, সবাই জানে কারা ধর্ষক। সারাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, তবু বিচার হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘শুধু এই দুজন শিক্ষার্থীর ধর্ষণ নয়, হযরত আলী তার শিশু কন্যা আয়েশাকে নিয়ে যে আত্মহত্যা করলো বিচার না পেয়ে, এরচেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে! আমরা জলজ্যান্ত মানুষেরা ঘুরে বেড়াচ্ছি, আর একজন নাগরিক তার শিশু কন্যা ধর্ষণের বিচার না পেয়ে রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্যা করলো, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের এর জন্য প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত।’

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী জীবনানন্দ জয়ন্ত'র সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ এ.এন. রাশেদা, ভাস্কর রাসা, ডা. নাজিম উদ্দিন, সাঈদা সুলতানা অ্যানি, শম্পা বসু, জিলানী শুভ, ইমরান হাবিব রুম্মন ও আরো অনেকে।

সমাবেশের পর গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসে।

(ওএস/এএস/মে ১৩, ২০১৭)