টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পাছবেথইর গ্রামে রাজিব (২৮) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রাজিবের বাবা মো. হাতেম আলী সরকার তার পুত্রবধূ মোছা. শ্রাবনী ওরফে পিংকীর পরকীয়ার জের ধরে রাজিবকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলাসূত্রে প্রকাশ, গত বছরের ৭ আগস্ট কালিহাতী উপজেলার মহেলা দÿিণ পাড়ার মো. হাতেম আলী সরকারের ছেলে রাজিব সরকারের সাথে পাশের সদর উপজেলার পাছবেথইর গ্রামের মো. খোকন মিয়ার মেয়ে মোছা. শ্রাবণী ওরফে পিংকীর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পিংকীর সাথে পাশের রসুলপুর গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে মাসুদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একথা মেয়ের বাবা গোপণ রাখেন।

গত ২৬ মার্চ বিকালে তার ছেলে রাজিব সরকার ও তার স্ত্রী মোছা. শ্রাবণী ওরফে পিংকীকে মোবাইল ফোনে দাওয়াত করে শ্বশুরবাড়ি ডেকে নেয়। পরে রাতে শ্রাবণী ওরফে পিংকী, তার বাবা খোকন মিয়া, তার মা মোছা. নাজমা বেগম, প্রতিবেশি আত্মীয় মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে অখিল মিয়া, রোকন মিয়া, কফিল উদ্দিন কফু, কফিল উদ্দিন কফু’র মেয়ে ময়না বেগম এবং পিংকীর পরকীয়া প্রেমিক পাশের রসুলপুর গ্রামের আকরাম আলীর ছেলে মাসুদ পরস্পর যোগসাজসে নানাভাবে ফুসলিয়ে উত্তেজিত করে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়।

পরদিন রাজিব সরকারের ঝুলন্ত মরদেহ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা(নং-৯, তারিখ-২৭/০৩/২০১৭ইং) দায়ের পূর্বক মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত রাজিবের ভাই সজিব সরকার জানান, তার ভাই রাজিব সরকারকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার ভাবী পিংকী ও তার পরকীয়া প্রেমিক মাসুদ সহ অন্যদের সহযোগিতায় রাজিব সরকারকে অত্যন্ত সুকৌশলে খুন করেছেন।তিনি রাজিব সরকার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মামলার বাদী মো. হাতেম আলী সরকার জানান, রাজিব অত্যন্ত সহজ-সরল ব্যক্তি ছিল। সে একজন ভাল রড মিশ্রি, তার স্ত্রী পিংকীর সহযোগিতায় রাজিবকে খুন করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) তদন্ত করছে। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে মূল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলাটির তদন্ত চলছে, যথাসময়ে সবকিছু জানানো হবে।

(আরকেপি/এসপি/মে ১৫, ২০১৭)