মো. আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার সদরের নাজিরাবাদ ইউনিয়নের মৌলভীবাজার-সমশেরগঞ্জ সড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ রাস্তাজুড়ে চলছে গ্রামীনকৃষকের ধান মারাইয়ের কাজ। এতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে যান চলাচলে, হচ্ছে ছোটখাট দুর্ঘটনাও।

এসব বিষয়ে মাঝে মধ্যে ঐসব এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচলকারি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও ইমা গাড়ীর চালকদের সাথে রাস্তায় প্রতিবন্দকতা সৃষ্টিকারী কৃষকদের সাথে বাকবিতন্ডতার ঘটনাও ঘটছে । গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে নাজিরাবাদ ইউনিয়নের নারাইনপাশা, আটঘর, হুসেনপুর, মর্দনাল ও সমশেরগঞ্জ বাজারের আশে পাশের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে কোন বাঁধাবিগ্ন ছাড়াই এলাকার কৃষকরা সম্পূর্ন রাস্তা বন্ধ করে বুরো মৌসুমের ধান কেটে তা রাস্তার মধ্যেই ফেলে রাখছেন। কেউ কেই ধান মাড়াই ও ধান শুকানোর কাজও করছেন। রাস্তা বন্ধ করে ধান মাড়াইয়ের কাজে নিয়েজিত এক কৃষকের কাছে জানতে চাওয়া হয় রাস্তা বন্ধ করে কেন আপনারা ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন, এটাতো সরকারি রাস্তা, জবাবে ঐ কৃষক দাম্ভিকতার সাথে জানান, ধান মাড়াই করলে আপনার কি সমস্যা?

রাস্তাতো করা হয়েছে আমাদের সুবিধার জন্য, এখানে ধান মাড়াইয়ের কাজ না করলে কোথায় যাব আমরা। মৌলভীবাজার সমশেরগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী ইমা গাড়ীর চালক রাহেল মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, ভাই আপনারা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে আমাদের এ সমস্যার কথা একটু পত্রিকায় লিখেন, তাহলে আমাদের সমস্যা দূর হবে, আমরা স্বাধীন ভাবে এই সড়কে গাড়ী চালাতে পারছিনা। গাড়ী চালক রাহেল মিয়া আরো বলেন, আমরা তাদের কারণে রাস্তায় গাড়ী চালাতে পারিনা। তারা রাস্তায় ধান মাড়াই থেকে শুরু করে ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত সবই করছে এখানে। মাঝে মধ্যে বাধা দিলে তারা খারাপ ব্যবহার করে, এমনকি রাস্তায় গাড়ী দাঁড় করিয়ে চালককে লাঞ্চনা করতেও দিধা করেনা। ঐ চালক আরো জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে সমশেরগঞ্জ সড়কের ব্রীজের পাশে এক কৃষক ধান মাড়াইয়ের কাজ করে রাস্তা বন্ধ করে দিলে দুটি সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এতে অনেকেই আহত হয়ে বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। রাস্তা বন্ধ করে কৃষকের ধান মাড়াই বিষয়ে মুঠোফোনে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেযারম্যান এনামুল হক রাজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেনা, রাস্তা বন্ধ করে ধান মাড়াই বা ধান শুকানোর কাজ হচ্ছে কি না বিষয়টি এ প্রতিবেদককে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও নিশ্চিত করেন।

(একে/এএস/মে ১৭, ২০১৭)