নাগরপু (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র ক’দিন বাকি। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীরা পোস্টার মাইকিং সহ নানা রকমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। বড় তিনটি রাজনৈতিক দলেরই এই ইউপিতে রয়েছে বিশাল ভোট ব্যাংক। তাই বড় তিন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবেনা।

প্রার্থীরা যতরকম কৌশলই অবলম্বনই করুক না কেন ভোটাররাও তাদের কথায় ভুলছেন না। অনেক ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে যারা নির্বাচিত হওয়ার পর বিপদে তাদের পাশে থাকবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবেন। ২০১৬ সালের ২৩শে মার্চ নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ার কথা থাকলেও বন্যায় দুটি ওয়ার্ড ভেঙ্গে যাওয়া এবং মামলার কারনে ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সেই স্থগিতকৃত ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সিমানা পূন:নির্ধারন এবং মামলা জটিলতা কাটিয়ে আগামি ২৩মে অনুষ্ঠিত হবে।

অনেকেই বলছেন, ভারড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.কদ্দুস মিয়া সীমানা নির্ধারন জটিলতা দেখিয়ে তার অনুসারী আরড়া গ্রামের আ.মজিদকে দিয়ে আদালতে মামলা করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করেছেন। তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট চারজন চেয়ারম্যান প্রার্খী নির্বাচনি মাঠ চষে বেরাচ্ছেন।

এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী প্রবীন আওয়অমীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো.রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার নির্বাচনি প্রতিক নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে, ভোটারদের মন জয় করার জন্য দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

অপরদিকে জাতীয় পার্টি নেতা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ভারড়া ইউ পি’র বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.কদ্দুস মিয়া নিজের অভিজ্ঞতার বয়ান দিয়ে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে সময় পার করছেন।

এছাড়া বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুজ্জামান লিটন বয়সে নবীন হলেও বি এন পি’র নীরব ভোটকে জাগ্রত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে তার ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন।

আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুবকর সিদ্দিকীর অভিজ্ঞতাও একেবারে কম নয়। তিনি দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন (নির্বাচিত চেয়ারম্যান আ.কদ্দুস হত্যা মামলায় যখন জেলে ছিলেন)। সেই হিসেবে এলাকার ভোটারদের সাথে তার একটা সক্ষ্যতা রয়েছে।

গত কয়েকদিন ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, আড়রা, শাখাইল,পাঁচতারা গ্রামের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিথ্যা আশ্বাস ও মিষ্টি কথায় আর ভুলবেন না তারা। সব সময় যাকে কাছে পাবেন এবং যিনি জনগনের বন্ধু হয়ে কাজ করবেন এমন ব্যক্তিকেই তারা ভোট দিয়ে নির্বচিত করবেন দল তাদের কাছে কোন বিষয় নয়। তাই কে হচ্ছেন আগামীর ভারড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান এ জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল বাতেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সীমানা পূন:নির্ধারন ও মামলা জটিলতা কাটিয়ে আগামী ২৩শে মে ভারড়া ইউ পি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সর্বোমোট ২২২৯২ জন ভোটার ৯টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবে। সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।


(আরকেএস/এসপি/মে ১৯, ২০১৭)