শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে এইচ এস সি পরিক্ষার্থীকে পরিক্ষার শেষে বাড়ি ফেরার পথে জোড় করে তোলে নিয়ে পরিবারের সবাই মিলে পাষন্ডের মত মারপিট করে।

মেয়েটি শ্রীমঙ্গল দ্বারিকাপাল মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার এইচ এসসি পরিক্ষা দিচ্ছে। সে কলেজ থেকে ব্যবহারিক পরিক্ষা শেষে বাড়ির ফেরার পথে রাজু তার বাড়িতে জোড়ে করে নিয়ে গিয়ে রাজু ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে, রাজুর বাবা মোঃ হেলাল মিয়া (৫০) মা সোকেরা বেগম (৪৫), দুই বোন নিপা আক্তার (২১) ইমা আক্তার (১৮) কলেজ ছাত্রীকে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় উড়না পেঁচিয়ে বেধরক মারধর করে।

পরিক্ষা দিয়ে বাড়িতে ফিরতে দেরি দেখে পরিবারের লোকেরা তাকে খোঁজাখুজি শুরু করলে লোক মারফতে খবর পেয়ে এবং পাশের বাড়িতে মেয়েটির চিৎকার শুনে মেয়ের আত্মীয় স্বজনরা রাজুর বাড়ি থেকে মেয়েটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।

প্রথমে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখান থেকে শ্রীমঙ্গল থানায় নিয়ে আসে। কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানাতে রাজুর পরিবারের ০৫ জন সদস্যকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ছেলেটির নাম মো: রাজু-উজ্বামান (২৮), পিতা: মোঃ হেলাল মিয়া। সাং- মির্জাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পাচাউন (খিল গাও )।

তবে ছাত্রীর বড় বোন স্বপ্না বেগম জানায়, রাজুর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক ভাবে তাদের সম্পর্ক নিয়ে জানাজানি হলে গ্রামের মুরব্বিরা সালিসের মাধ্যমে ঘটনার নিষ্পত্তি করেন। এর জের ধরে রাজু আমার বোন কে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো । এই বিষয়ে আমরা তার পরিবারে সদস্যদের অনেকবার জানিয়েছি।

রাজুর পরিবারের লোকেরা এব্যাপারে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখলে আজ এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না। তার শরীরে অমানবিক ভাবে আঘাত করে। এবং তার পরনে থাকা কলেজ ড্রেস ছিড়ে ফেলেছে। এমন কি তার পরিক্ষার প্রবেশ পত্র,রেজি: কার্ড রাজু জোর করে রেখে দেয়।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম এর নির্দেশে এস আই আবুল বাশার ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনা স্থলে পৌছালে রাজুর বাড়ীতে রাজুকে ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে এস আই আবুল বাশার জানান অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে । তদন্ত করে প্রয়োজনী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।


(বিবি/এসপি/মে ১৯, ২০১৭)