রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক হায়দার আলী খন্দকার এই রায় দেন। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. আরিফ (২৫)। জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের বাংধারা গ্রামে তার বাড়ি। বাবার নাম রুহুল আমিন। জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু কনা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কনা জানান, আত্মীয়তার সম্পর্কের সূত্রে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের দশম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর (১৭) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আরিফের। ২০১৩ সালের ৬ জুন আরিফ মেয়েটিকে গোদাগাড়ীর সাফিনা পার্কে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন।

এর ফলে মেয়েটি গর্ভধারণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর তাদের দুইজনের বিয়ে দিতে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়। কিন্তু আরিফ তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান। পরবর্তীতে ওই মেয়েটি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। এরপরেও ওই মেয়েটিকে বিয়ে করেননি আরিফ।

এ নিয়ে ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে পরের বছর আরিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে। পরে আরিফের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। এরপর আদালতে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়।

আদালতের পরিদর্শক আরও জানান, মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পূর্ণিমা ভট্টাচার্য। আর আসামিপক্ষে ছিলেন একরামুল হক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

(ওএস/এএস/মে ৩১, ২০১৭)