সঞ্জীব কুমার দাস কাপাসিয়া (গাজীপুর) : চলতি বছর জিপিএ ফাইভ (এ প্লাস)পেয়ে এস এস সি পরীক্ষায় উর্ত্তীণ জেলার কাপাসিয়ার মেয়ে তামান্না উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শংকা কেটে গেছে। তামান্নার বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশ হলে সদ্য যোগদানরত গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড.দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে মেধাবী তামান্নার শিক্ষার দায়িত্ব নিলেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাকসুদুল ইসলাম।

জানা যায়, উপজেলার তরগাও ইউনিয়ন মৈশন গ্রামের তাজউদ্দিনের মেয়ে তামান্না। তার মা নাম এমিলি বেগম। কিন্তু তামান্নার বাবা থেকে ও নেই। তামান্নার বয়স যখন ১৮ মাস তখন তামান্না বাবার ও তার মা‘র মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

এরপর থেকে তামান্না তার নানা বাড়ীতে বসবাস শুরু করেন। মা এমিলি বেগম এলাকায় মানুষের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে তামান্নাকে লেখা পড়া শুুরু করে। চলতি বছর সে উপজেলার ফকির সাহাবউদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ প্লাস পেয়ে উর্ত্তীণ হলেও অর্থাভাবে সে তার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শষ্কিত হয়ে পড়েন।

এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যামে তার খবর প্রচার হলে জেলা প্রশাসকের দৃষ্ঠি গোচরে আসে। পরে তিনি কাপাসিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে বিষয়টি জানালে নির্বাহী কর্মকর্তাকে মেয়েটি সমস্ত ব্যয়ভার গ্রহণ করার কথা বলেন।

পরে উপজেলা নিবাহী অফিসার মো: মাকসুদুল ইসলাম, ফকির সাহাবউদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মোশারফ হোসেনকে নিয়ে তামান্নার মৈশন তার নানার বাড়ীতে উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে তামান্নার লেখাপড়ার খরচ বাবদ নগদ ৫০০০ হাজার টাকা ও পরবর্তিতে লেখাপড়ার সমস্ত দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান তার পরিবারকে ।

তামান্না বলেন, আমাকে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি যেন ভালভাবে লেখাপড়া করে সবার মুখ উজ্জল করতে পারি। আমি সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।

(এসকেডি/এসপি/জুন ০২, ২০১৭)