স্টাফ রিপোর্টার : শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার ঢাকা কাস্টম হাউজে এসব মামলা করা হয়। রাতে শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে তিনটি, আজাদ আহমেদ ও গোলজার আহমেদের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা করা হয়েছে।

রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শোরুমে ১৫.১৩ মন স্বর্ণ জব্দের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ড. মইনুল খান।

এর আগে গত মে মাসের প্রথম দিকে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের বেশ কয়েকটি শো-রুমে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও অধিদফতর। পরে গত ১৭ মে আপন গ্রুপ ও আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক (তিন ভাই) দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডেকে পাঠানো হয় শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে।

সেখানে জব্দ স্বর্ণের বিষয়ে কোনো বৈধ কাজগপত্র দেখাতে না পারলেও তখন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের দিলদার আহমেদ বলেছিলেন, দোকান থেকে জব্দ সব স্বর্ণই বৈধ এবং তাদের কাছে কাগজপত্র রয়েছে।

তবে দুই দফায় সময় দিলেও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে বৈধ কয়েকজন ক্রেতাকে কিছু অলঙ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এরপর এসব জব্দ স্বর্ণ ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তরের পরপরই আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর অভিজাত হোটেল ‘দ্য রেইন ট্রি’তে বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে এসে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণী।

এ ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর ধর্ষণের শিকার ওই দুই ছাত্রী গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। এরমধ্যে এক নম্বর আসামি হচ্ছেন আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের বড়ছেলে সাফাত আহমেদ।

এরপরই আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে জুয়েলার্সটির বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।

(ওএস/এএস/জুন ০৮, ২০১৭)