নিউজ ডেস্ক : উদ্ভাবনী দিক বিচারে এশিয়ার মধ্যে সেরা দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সম্প্রতি রয়টার্স এশিয়ার সবচেয়ে উদ্ভাবনী ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক দিক থেকে অস্থিতিশীল হলেও উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে শিল্পোদ্যোগের সাথে কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘনিষ্ঠ অবস্থানের কারণে। দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গবেষণাভিত্তিক শক্তিশালী শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সেরা ৭৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পর পর দুইবারের মতো সেরা অবস্থান ধরে রেখেছে উদ্ভাবনী দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় কেএআইএসটি। কোরিয়ায় দায়েজিওন, সিউল ও বাসুনে তিনটি ক্যাম্পাস রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখানকার গবেষকরা যে পরিমাণ পেটেন্ট পেয়েছেন তা তালিকার অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি।

আর এ কারণেই সেরা উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব পেয়েছে কেএআইএসটি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টি এনিমেল রোবট তৈরীতে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। এর আগে গত বছর একটি হিউম্যানয়েড (মানব সদৃশ রোবট) তৈরী করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল।

এশিয়ার শীর্ষ ৭৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হংকংসহ চীন তালিকায় এক নম্বরে থাকলেও জনসংখ্যা বিবেচনায় দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান এক নম্বরে। মাত্র পাঁচ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এই দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণার জন্য তালিকায় স্থান পেয়েছে । এশিয়ার জনসংখ্যার দিক দিয়ে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম হলেও মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি’ শীর্ষ ৭৫ এর তালিকায় জায়গা পেয়েছে।

তালিকায় জাপানের ১৯টি, অস্ট্রেলিয়ার ৫টি, সিঙ্গাপুরের দুটি এবং নিউজিল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে বিশাল জনসংখ্যা থাকলেও ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পায়নি।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০১৭)