স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বকে কলঙ্কিত ও বাংলাদেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করার অভিযোগে দায়ের করা মানহানি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার খালেদার সমনের জবাব দেয়ার দিন ধার্য ছিল। এ দিন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী তার গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন। নিয়মিত বিচারক ছুটিতে থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈদ উদ্দিন সিদ্দিকী আদেশের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২২ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। সমনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ জুন দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) ঘটনার সতত্য পাওয়া গেছে বলে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (মরণোত্তর) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

মামলার বাদী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্ব কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করায় তাকে মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সাথে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন।

(ওএস/এসপি/জুন ১১, ২০১৭)