স্টাফ রিপোর্টার : এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে মোট ১০ হাজার ৬৭৭টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশের রফতানি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে মনে করছে সরকার।

সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সংক্রান্ত ‘সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট টু দ্য এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট’-এর অনুসমর্থনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় বর্তমানে ৪ হাজার ৬৪৮টি পণ্য বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। দ্বিতীয় সংশোধনীর ফলে এখন মোট ১০ হাজার ৬৭৭টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাওয়া যাবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ভারত সাধারণ তালিকার সকল সদস্য দেশকে ৩ হাজার ৩৮১টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ, চীন সাধারণ তালিকার সকল সদস্যকে ২ হাজার ৩৭২টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণ তালিকার সদস্য দেশগুলোকে ৩ হাজার ৩৫৭টি পণ্যে ১০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক সুবিধা দেবে।

জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ব্যাংককে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। ২০০৫ সালে এটি সংশোধিত হয়ে আপটা হয়। এটি ব্যাংকক চুক্তি নামে পরিচিত, যার সদর দফতরও ব্যাংককে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও লাওস আপটার অন্তর্ভুক্ত।

(ওএস/এসপি/জুন ১২, ২০১৭)