শিশু আবদুল্লাহ হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার : কেরানীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণ করে হত্যা মামলার আসামি খোরশেদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার ঢাকার তিন নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে, আসামি শামীমকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আসামি মিতুকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড। অপর আসামি নাসিমাকে খালাস প্রদান করা হয়। আসামি খোরশেদকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, যুক্তিতর্ক শেষে ৮ জুন রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তার পরিবার ২ লাখ টাকা প্রদান করেন অপহরণকারীদের।
অপহরণের দিনই আসামিরা শিশু আবদুল্লাহকে মুখ চেপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর তার লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে রাখা হয়। পরে তার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি আবদুল্লাহর নানা মারফত আলী বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এরপর ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
একই বছরের ৯ মার্চ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-খোরশেদ আলম (পলাতক), মেহেদী হাসান শামীম, মিতু আক্তার, নাসিমা বেগম ও মোতাহার (বন্দুকযুদ্ধে নিহত) মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে ২০ জনের।
(ওএস/এসপি/জুন ১৪, ২০১৭)