স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সব ধরনের প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ম্যাটস্) চিকিৎসা কর্মীরা রাজধানীর ৯২টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে চিকুনগুনিয়াবাহী এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

এছাড়া নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত ও ধ্বংস, মোটরযান মেরামতের দোকানগুলোতে গিয়ে পুরনো টায়ার থেকে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস এবং সেগুলোতে যাতে পানি জমতে না পারে সেজন্য পুরনো টায়ারগুলো ফুটো করা, আবর্জনার ভাগাড়গুলোতে মশা প্রজননস্থল, যেমন- পরিত্যক্ত ডাবের খোসা অপসারণ এবং বাসাবাড়ির ভেতর এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মহানগরীতে চিকুনগুনিয়া রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে গত ১ থেকে ৫ জুন মহানগরীর ৪৭টি ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র বিষয়ে একটি জরিপ চালায়।

জরিপে দেখা যায় ২৩টি ওয়ার্ডে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক উঁচু মাত্রায় এডিস মশা রয়েছে। ব্রুটো ইনডেক্স ২০ হলো স্বাভাবিক মাত্রা। কিন্তু ৪৭টি ওয়ার্ডের গড় ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া যায় ৫২, যা স্বাভাবিকের চেয়েও দুই গুণেরও বেশি। কোনো কোনো এলাকার ব্রুটো ইনডেক্স ১৩৩।

(ওএস/এসপি/জুন ১৭, ২০১৭)