চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম-৮ আসনের এমপি মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেছেন, জলাবদ্ধতায় বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। এ শহরের বাসিন্দাদের কাছে এটিই এখন অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আর তাই ‘পানির নিচে চট্টগ্রাম’ এ বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গবেষণা হওয়া দরকার।

শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম সিনেটে অধিবেশনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা বিষয়ে গবেষণা হয়। তবে বর্তমানে চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জলাবদ্ধতার ওপর গবেষণা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে। শুধু ডিজিটাল ডিজিটাল না বলে কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে গবেষণা করা উচিত।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি দান-অনুদানে চলে না। দান-অনুদাননির্ভর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনসত্তা প্রকাশ পায় না। এ সময় তিনি সরকারি অর্থের মুখাপেক্ষী না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ হাজার নারিকেল গাছ লাগাতে বলেন।

সিনেট অধিবেশনের বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান, সিনেট সদস্য ওয়াসেকা আয়েশা খান এমপি প্রমুখ।

শনিবার বেলা ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ২৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা।

ঘোষিত বাজেটে ২৭৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান ও ২০ কোটি ৫০ লাখ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় প্রাপ্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে ঘাটতি কোনো বাজেট রাখা হয়নি। ২০১৬-১৭ সংশোধিত বাজেটের আকার ছিল ২৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এদিকে ২০১৭ -১৮ অর্থবছরে বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়ে বেতন-ভাতা বাবদ খাতে। এ খাতে আগামী অর্থবছর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের শতকরা ৬৪.৯৭ ভাগ। পেনশন মঞ্জুরি হিসেবে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ০.৬৮ শতাংশ।

(ওএস/এসপি/জুন ১৭, ২০১৭)