স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ডেভিড লুই ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। তাকে বর্তমানের বিশ্বসেরা ডিফেন্ডারদের একজন হিসেবেই ভাবা হচ্ছে। ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের চলতি আসরেও দারুণ পারফরম্যান্স করছেন লুই। স্বাগতিক ব্রাজিলের দলগত পারফরম্যান্স সামগ্রিকভাবে যাই হোক না কেন, লুই কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচেই নজর কেড়েছেন। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের এই সফলতার পিছনে কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? এর উত্তরে স্পোর্টস মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা বলছেন, অবশ্যই একটি বিশেষ কারণে মাঠে সফলতা পাচ্ছেন লুই। বিশেষ কারণটি হল তার মাথা ভর্তি লম্বা চুল।

ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার লুইস, নিজেদের দাবির পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গাটোরেড স্পোর্টস সায়েন্স ইনস্টিটিউট (জিএসএসআই)-এর বিশেষজ্ঞ ওরল্যান্ডো লেইতানো বলেছেন, ‘অবশ্যই চুলের কারণে মাঠে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। কেননা গবেষণা থেকে দেখা গেছে, যে সব ফুটবলারের মাথায় একদম চুল থাকে না কিংবা অল্প চুল থাকে তারা মাঠে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কারণ ‘হিট স্ট্রেস’-য়ে তারা বেশি মাত্রায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দ্রুতই শরীরের শক্তি হারাতে শুরু করেছেন। কিন্তু ডেভিড লুই’র মাথা ভর্তি বড় বড় চুল থাকায় হিট স্ট্রেস থেকে রক্ষা পেয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

চুলের কারণে শরীরের শক্তি কম খরচ হওয়ায় অন্যান্য ফুটবলারের চেয়ে অধিক নৈপুণ্য দেখানো সম্ভব হচ্ছে তার পক্ষে।’ তবে মেডিকেল সায়েন্স যাই বলুক না কেন, চুল নিয়ে ব্রিবতকর অবস্থাতেই পড়েছেন এই ডিফেন্ডার। সতীর্থ খেলোয়াড়রা এ নিয়ে বেশ কৌতুকই করেন লুই’র সঙ্গে। এমন কি তার চুল নিয়ে প্রকাশ্যেই কেউ কেউ মজাও করছেন। ব্রাজিল জাতীয় দলের গোলরক্ষক হুলিও সিজারের মতে, ‘লুই বিশ্বাস করে বড় বড় চুলের কারণে তাকে বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাগে। কিন্তু আমার কাছে চুলের কারণে তাকে বেশ উদ্ভট ও হাস্যকর লাগে।’

ব্রাজিল মিডফিল্ডার পাউলিনহোর মতে, ‘লুই’র চুলগুলো সত্যিই ক্লান্তিকর। কিন্তু ওর যদি এটাই পছন্দ হয় তাহলে আমি কি বলব? ওর সঙ্গে তো আর এ নিয়ে তর্কাতর্কি করতে পারি না।’

(ওএস/পি/জুন ২৩,২০১৪)