স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)কর্তৃক ‘বিনা নোটিশে’ গুলশানের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের করা রিটের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ রোববার দিন র্ধায রয়েছে।

রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানির কথা রয়েছে।

গত ৮ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করেন।

ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং মওদুদের পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদিন।

গুলশানের বাসা থেকে উচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৮ জুন সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মওদুদ আহমদ নিজেই রিট দায়ের করেন।

এর আগেরদিন গুলশান-২ এর ১৫৯ নম্বর প্লটের বাসায় অভিযান চালিয়ে বাসার দখল নেয় রাজউক।

এরপর গুলশানের বাসা থেকে উচ্ছেদের বৈধতা ও নোটিশ না দেয়ার কারণ জানতে চেয়ে রিট করেন ব্যারিস্টার মওদুদ। রিটে রাজউক ও সরকারকে বিবাদী করা হয়।

পরে ২৫ জুন সকালে রাজউক গুলশান এভিনিউয়ের ১৫৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের একতলা ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয়।

বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা সমমূল্যের ওই জমির মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। তার স্ত্রী অস্ট্রিয়ার নাগরিক ইনজে মারিয়া প্লাজের নামে বাড়িটির নিবন্ধন ছিল। একাত্তরে তারা ঢাকা ছাড়লে ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

ইনজে মারিয়া প্লাজের মৃত্যুর পর ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে মওদুদের ভাই মনজুর আহমদের নামে ওই বাড়ির দখল নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে দুদক মামলা করলে চার বছর আগে শুরু হয় আইনি লড়াই।

সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় মওদুদের বিপক্ষে গেলে গত ৭ জুন ওই বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করে রাজউক।

এতে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দখলি স্বত্বে বিঘ্ন না ঘটাতে সরকার ও রাউজকের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা। হাইকোর্টে আলাদাভাবে অপর এই রিটটি করেন তিনি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০২, ২০১৭)