ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ পরিবারে মামলা-পাল্টা মামলার হিড়িক চলছে। সব মিলিয়ে ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত এক মাসে ৫টি মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৯২ জন নেতাকর্মী আসামি হয়ে গ্রেফতার আতংকে রয়েছেন। অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা আরো অন্তত ৬০ জন।

সর্বশেষ গত ২ জুলাই রাতে ঈশ্বরদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামে পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব।

এছাড়া ১ জুলাই ঈশ্বরদী শহরের মধ্যঅরনকোলা নিবাসী মকবুল হোসেন চুনু উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাসসহ ৭ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন।

লিখিত এজাহারে বাদী বলেছেন, গত ২৯ জুন দুপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তারা জীবননাশেরও হুমকি দেয়। পরে ৬৬ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

এদিকে পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব তার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৪ জুন রাত আনুমানিক ৩টার সময় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ আসামিগণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঈশ্বরদীর বিলপাড়া এলাকায় পুকুরের পাহারাদারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ও মৎস্য খামারের ঘর থেকে ৩৩৫ বস্তা মাছের ফিড খাবার, খৈল, সারসহ যাবতীয় মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসব মালামালের মূল্যও প্রায় ১৫ লাখ টাকা বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এই মামলার বাকি আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রিড়া সম্পাদক আরিফ হোসেন, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সানোয়ার হাসেন লাবু, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রকি, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রবি মোল্লাসহ ২০/২৫ জন।

১৮ মে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাসের বাবা আতিয়ার রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরিফ তমালসহ ৩২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১১ জন গ্রেফতার হয়। ঈদের আগে তারা জামিন পান।

কলেজ রোডের আজমল হক বিশ্বাস তার বাড়িতে গত ১৮ মে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা করেন। এই মামলায়ও আসামি রয়েছেন ১৯ জন।

এছাড়া স্টেশন রোডে দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় মো. রুয়েন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় আসামি রয়েছেন ১৬ জন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৭)