স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ নারী কোটার বিধান রেখে নয় বছর আগে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে নারীদের জন্য ৯০ শতাংশ কোটার এই বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ নয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শাখাওয়াত হোসেন খান। পরে তিনি আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

২০০৮ সালের ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নার্সিং ও পরিদর্শন শাখা থেকে সরকারি সেবা ইনস্টিটিউট ও কলেজের চার বছর মেয়াদী বিএসসি নার্সিংয়ে ভর্তি সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়।

ওই নীতিমালায় নার্সিং কোর্সে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি সংক্রান্ত শর্তাবলী অধ্যায়ের ৮ নম্বর কলামে বলা হয়, সেবা ইনস্টিটিউট বা কলেজের মোট আসনের সংখ্যার অনধিক ১০ শতাংশ আসন পুরুষ প্রার্থী দিয়ে পূরণ করা হবে। বাকি ৯০ শতাংশ ভর্তি করা হয় নারী শিক্ষার্থী।

ভর্তি ক্ষেত্রে এই বিধানকে সংবিধানের ২৮ (৩) অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে ভর্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থী মো. মাহফুজুর রহমান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত সোমবার এই রুল জারি করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৭)