মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারে ৬ বছরের শিশু কামরানকে অপহরণের পর নৃশংশকায়দায় হত্যা করে মুখে কস্টেপ মেরে শাষরুদ্ধ করে  লাশ পাশের ঘরের মাঠির নীচে চাঁপা দিয়ে রাখে অপহরণকারী আল-আমীন। সোমবার ভোর রাতে প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশের তৎপরতায় অপহরনকারীর খুঁজে পুলিশের সর্বাত্তক চেষ্টায় অপরণকারীর সন্ধান পায় পুলিশ । এর পরই শিশু কামরানকে অপহরণে জরিত থাকার দায়ে পাশের ঘরের কামরানের চাচা আল-আমীনকে হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ । এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ জনকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সাধুহাটি গ্রামের ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার ৬ বছরের শিশু কামরান গত ২৯ তারিখ সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় এক ব্যাক্তি। এ ঘটনার পর ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার খালাতো ভাই লিটন মিয়া মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ঐদিনই মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাচা আল-আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে লোহমর্ষক এ হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে ভোর রাতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সাধুহাটি গ্রামে আল-আমিনকে নিয়ে গেলে মাটির নীচে পুতে রাখা স্থানটি দেখায় সে। তখন ওই স্থান থেকে মাটি খুড়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আল-আমিন পুলিশের কাছে স্বীকার করে,কামরানকে পলিথিন দিয়ে মুখে কসটেপ মেরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। কামরান পার্শবর্তী সরকারবাজার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের নার্সারিতে পড়তো। আল-অমিন ও নিহত শিশু কামরান একই বাড়ীতে বসবাস করতো। তাঁরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে প্রতিদিনের মতো কামরান তার বাড়ির পাশে খেলা করছিল । এরপর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলনা। অনেক খোঁজ করে তাঁর ফিরে আসার খবর না পাওয়ায় পরিবারের সন্দেহ হয় অপহরণের। এরপরই শিশু কামরানের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৯ জুন বৃহস্পতিবার বিকালে কামরানের পিতা ও ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার খালাতো ভাই লিটন মিয়া বাদি হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে কামরান অপহরণের কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা মুঠোফোনে ৫লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

(একে/এএস/জুলাই ০৩, ২০১৭)