স্টাফ রিপোর্টার : মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, সরকারের অর্থায়নে যেসব এনজিও কাজ করছে তাদের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তাদেরও দায়বদ্ধতা আছে।

বুধবার সকালে মহিলাবিষয়ক অধিদফতরে মাল্টিপারপাস হল রুমে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচির অধীনে যেসব এনজিও মাঠপর্যায়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে মহিলাবিষয়ক অধিদফতর।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাহমুদা শারমীন বেনু। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি এবং অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের পরিচালক একেএম মিজানুর রহমান এবং অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নেওয়াজ দিলরুবা।

সভায় কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল কর্মসূচির অধীন যেসব এনজিও মাঠপর্যায়ে কাজ করে তাদের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। শিশুরা জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে যথাযথভাবে সুরক্ষা করা গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একজন সুস্থ মা পারেন একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে। শূন্য থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুর ৮০ শতাংশ বিকাশ সাধিত হয়। শহরাঞ্চরের কর্মজীবী দরিদ্র মায়েরা যাতে পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে সেজন্য কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল কর্মসূচি চালু হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মায়েদেরকে ভাতা প্রদান করা হতো কিন্তু শহরাঞ্চলে কর্মজীবী মায়েদের কোনো ভাতা প্রদান করা হতো না। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল কর্মসূচির মাধ্যমে দুই লাখ কর্মজীবী দরিদ্র মায়ের ভাতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

দেশের সব কটি সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদর, উপজেলা সদর ও পৌরসভায় এ কর্মসূচি চালু আছে। এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাকে মাসে পাঁচশ’ টাকা করে দেয়া হয় এবং কর্মজীবী মায়েদের মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, মাতৃদুগ্ধপান, সেনিটেশন, প্রজনন স্বাস্থ্য, টিকা, পরিবার পরিকল্পনা, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এনজিওদের মাধ্যমে এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালানো হয়।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৭)