স্টাফ রিপোর্টার : চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইনজীবী সুজাউদ-দৌলা আকন্দ গত মঙ্গলবার চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণে ত্বরিত নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য সচিব ও ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।

রিটে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী সুজাউদ-দৌলা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

আদালতের জারি করা রুলে স্প্রে ও যথাযথ ওষুধ ছিটানোর মাধ্যম এডিস ও অন্যান্য মশা ধ্বংস করতে বিবাদীদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সারাদেশে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, পাশাপাশি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ দেশের আক্রান্ত এলাকার ডাম্পিং স্পটগুলো পরিষ্কার করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে।

ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যায় কামড়ায়। একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে মশার মাধ্যমে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাব হতে পারে। চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৯, ২০১৭)