স্টাফ রিপোর্টার : রামপাল বিদ‌্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আর কোনো রকম বাধা বা দ্বিমত থাকার কথা নয়। ইউনেস্কোও রামপাল প্রকল্পের ওপর আপত্তি প্রত্যাহার করেছে। এখন পরিকল্পনামাফিকই এ প্রকল্পের কাজ চলবে।

রবিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেছেন। এ সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও উপস্থিত ছিলেন।

একই সঙ্গে তৌফিক-ই-এলাহী বলেছেন, ইউনেস্কো অল্প কিছু প্রশ্ন রেখেছে। এসব শর্ত মেনে ডিসেম্বরের মধ্যেই ইউনেস্কোতে প্রতিবেদন জমা দেবে সরকার।

তিনি বলেন, সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অনেক যুক্তিতর্ক হয়েছে। আমরা সব সময় বৈজ্ঞানিক যুক্তির পক্ষে। সরকার সবার সামনে বৈজ্ঞানিক যুক্তি তুলে ধরেছে। কেউ মেনে নিয়েছে, কেউ নেয়নি। আমরা প্যারিসে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে আগেই গিয়েছি। এরপর পোল্যাল্ডের ট্যাকাও ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সম্মেলন হয়েছে; সেখানেও গিয়েছি। সেখানে গিয়ে আমরা বিভিন্নভাবে দেশকে তুলে ধরেছি।

তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সঙ্গে আমরাও একমত। আমাদের ফ্রেশ ওয়াটার ফ্লো বাড়াতে হবে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আপ স্ট্রিম থেকে ফ্রেশ ওয়াটার ফ্লো বাড়লে সুন্দরবন ভালো থাকবে। এছাড়া ড্রেজিং করা দরকার; রামপাল সুন্দরবন থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তরে। রামপাল শুধু একটা বিদ্যুৎ প্রকল্প না, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রগতির পথপ্রদর্শক হবে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের কথা বলেছি সেজন্য রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের কারণে সুন্দরবনের পরিবেশের ক্ষতি হবে না, এমন একটি রিপোর্ট দিতে বলেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ রিপোর্ট দেব।

সরকার লবিং করে ইউনেস্কোর অবস্থান পরিবর্তন করেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকারের অবস্থান আমরা তুলে ধরেছি। সেটাকে লবিং বললে বলতে পারেন।

ইউনেস্কোর আগের অবস্থান কী ছিল, এখনকার অবস্থান কী? এমন প্রশ্নে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, তাদের আগের অবস্থান ছিল রামপালসহ সুন্দরবনের কাছে সব অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ রাখা। পরিবেশগত ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরি করে রামপাল প্রকল্প সরানোর কথা বলা। আর এখনকার অবস্থান সহযোগিতা করা।

রামপাল প্রকল্প কবে শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে দুটি প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। কাজ শুরু হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা চারটি কাজ করছি। দ্রুত প্রবৃদ্ধি, সুষম ও সংবেদনশীল প্রবৃদ্ধি, পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়ন।

(ওএস/এএস/জুলাই ১০, ২০১৭)