চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ত্রিপুরাপাড়ায় ফৌজদারহাটে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ৪৬ শিশুর মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবারই মারা গেছে চার শিশু।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ফৌজদারহাট বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের পর্যবেক্ষণ শেষে এ তথ্য জানান সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুল করিম রাশেদ।

তিনি জানান, ফৌজদারহাট বিশেষায়িত হাসপাতালে ত্রিপুরা পাড়া গ্রামের ৪৬ জন শিশু চিকিৎসাধীন আছে। এরমধ্যে ১৩ শিশুর শারীরিক অবস্থা গুরুতর। তাদের চিকিৎসা চলছে।

নুরুল করিম রাশেদ আরও জানান, রোগ সনাক্ত করতে ঢাকা থেকে আরও একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম আজ ফৌজদারহাট বিশেষায়িত হাসপাতালে আসবেন। তারা শিশুদের রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসক টিম ত্রিপুরা গ্রাম নিরীক্ষণেও যেতে পারেন।

এদিকে ত্রিপুরা পাড়ায় পাঁচদিনে দশ শিশুর মৃত্যুর কারণ হিসেবে পুষ্টিহীনতার কথা বলছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যেমতে পুষ্টিহীনতার কারণে শিশুদের শরীরে জ্বরসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এতে মৃত্যুও হতে পারে।

গত পাঁচ দিনে অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বুধবার একদিনে চার শিশুর মৃত্যু হয়। আক্রান্ত এসব শিশুর প্রত্যেকের বয়স ৩ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

ত্রিপুরাপাড়া গ্রামে ১০ শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল করিম রাশেদ। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী একটি টিম নিয়ে ত্রিপুরা পাড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। তারা শিশুদের সঠিক রোগ সনাক্ত করতে না পেরে অজ্ঞাত রোগ বলে দাবি করেন।

শিশুদের এসব রোগের উপসর্গের বিবরণ দিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন আজিুজর রহমান সিদ্দিকী বলেছিলেন, শিশুগুলোর প্রথমে জ্বরের সঙ্গে শরীরে বিচি ওঠে। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়ে তারা মারা গেছে। রোগ সনাক্ত করতে না পারায় এটাকে আমরা অজ্ঞাত রোগ বলেছি।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০১৭)