ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশনটির আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। জংশন স্টেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পদ। আধুনিকায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ না থাকায় সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এই জংশনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জাগো নিউজের ঈশ্বরদী প্রতিনিধি আলাউদ্দিন আহমেদের দুই পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।

নানা সমস্যায় জর্জরিত ঈশ্বরদী রেল স্টেশন। এই স্টেশনে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় দুই থেকে তিন হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু স্টেশনের বিশ্রামাগার, টয়লেট ও ফুটপাথ রয়েছে হকার, চোরাচালানী ও বখাটেদের দখলে। বিদ্যুৎ ও পানির সমস্যা তো রয়েছেই। আইন শৃঙ্খলারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন ও ইয়ার্ড জুড়ে।

এছাড়া টিকেট বিক্রির কাউন্টার সংলগ্ন টেম্পুস্ট্যান্ড, মালগুদাম, আইডব্লিউ অফিস, সাউথ কেবিন এলাকা, পিডব্লিউআই অফিস এলাকা, কলাবাগান এলাকা ও লোকোশেড এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন ও চুয়ানি বিক্রি হচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই।

এদিকে বিভিন্ন রুটে চোরাচালানের মালামাল ট্রেনযোগে ঈশ্বরদী নিয়ে আসা হয়। চোরাচালানের এসব মালের মধ্যে ফেনসিডিল, সার, গেঞ্জি, শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের পিস উল্লে¬খযোগ্য। চোরাচালানের এসব মাল ঈশ্বরদী বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও শহরের পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈশ্বরদী রেল জংশন, স্টেশন ও ইয়ার্ড থেকে বৈধভাবে রেল কর্তৃপক্ষের কোটি কোটি টাকা আয় হলেও বৃদ্ধি করা হয়নি যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা।

পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু নতুন সংস্কার কাজ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। কিন্তু আধুনিক রেল জংশন অর্থাৎ রি-মডেলিং করনের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান এ কর্মকর্তা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৪, ২০১৭)