হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের বিজিবি সদস্য শামীম মিয়াকে মিথ্যা প্রেমের অজুহাতে জোর পূর্বক পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের রফিকুলের মেয়ে খালেদা আকতার রূপা ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা অপহরণের প্রচেষ্টা চালায়। পরে স্থানীয় জনগণ কর্তৃক শামীম মিয়া উদ্ধার পাওয়ার পর অপহরণকারি ও তাদের সহযোগি ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি এবং ওই মেয়েকেই বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। বিজিবি সদস্য ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দাবি পূরণ করতে অস্বীকৃতি জানালে খালেদা আকতার রূপাকে দিয়ে হয়রানীমূলক মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। 

সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উক্ত বিজিবি সদস্যের অসহায় পিতা মহির উদ্দিনের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, প্রবাসী রফিকুলের মেয়ের রূপার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা চলার একপর্যায়ে তার চরিত্র সম্পর্কে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করা হয়। এতে রূপা ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের নিয়ে গত ২২মে পাঁচগাছি শান্তিরাম মডেল হাইস্কুলের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অটোরিক্সা যোগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পথে ধাপাচিলা বাজারের কাছে উক্ত বিজিবি সদস্য শামীম আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার করলে ছাপড়হাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান মেম্বরসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ সকলকে থানায় নিয়ে যায়। উপযুক্ত প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে পুলিশ বিজিবি সদস্যকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় বিজিবি সদস্যকে অপহরণ ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিবি সদস্য শামীমের চাচা জাহেদুল ইসলাম। এসময় তার পিতা মহির উদ্দিন ও তার অপর চাচা মো. সোবহান সরকার উপস্থিত ছিলেন।

(এইচআইবি/এএস/জুলাই ২৪, ২০১৭)