স্টাফ রিপোর্টার : চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। মঙ্গলবার রাজধানীর কলাবাগানে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ল্যাবএইডের যৌথ উদ্যোগে চিকুনগুনিয়া : সচেতনতা শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।

চিকুনগুনিয়া মহামারির ধারে কাছেও নেই। চিকুনগুনিয়া পরিসংখ্যান শুরু করতে হলে শূন্য (০) দশমিক থেকে শুরু করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আক্রান্তদের ব্যথা নিরাময়ে অন কলে ফিজিওথেরাপিস্ট পাঠানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এখনও অফিয়ালি ঘোষণা দেয়া হয়নি। মেয়র সাঈদ খোকন আরও বলেন, আমরা নগরবাসীর মন থেকে ভীতি ও আতঙ্ক দূর করতে চাই। চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. এ এম শামীম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক লাখ লোকের ১৫ জন আক্রান্ত হলে এবং সেই অবস্থা টানা দুই সপ্তাহ চললে তাকে মহামারি বলা যায়। সে হিসেবে চিকুনগুনিয়া মহামারি নয়।

মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. খাজা নাজিম উদ্দিন বলেন, চিকুনগুনিয়া রোগটির সরাসরি চিকিৎসা না থাকলেও এর উপসর্গগুলোর চিকিৎসা রয়েছে। তিনি জ্বর হলেই সঙ্গে সঙ্গে এন্টিবায়োটিক সেবনে নিষেধ করে বলেন, জ্বর হলে অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ডা. সমীরণ কুমার সাহা তার বক্তব্যে বলেন, মহামারি আকার ধারণ না করলেও চিকুনগুনিয়ায় রোগী মারা যাবার ঘটনা ইতোমধ্যেই ঘটেছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী, ডা. কাজী নওশাদ উন নবী প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাংবাদিকতা বিভাগের উপদেষ্টা রোবায়েত ফেরদৌস।

(ওএস/এএস/জুলাই ২৫, ২০১৭)