গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গোবিন্দগঞ্জ শহরে ঢাকা- রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পিচ ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা গর্ত ও খানা-খন্দক গুলোতে ভাঙ্গা ইট-পাথর খোয়া, পীচ দিয়ে জোড়াতালি দেয়ায় সমস্যা আরও প্রকট ধারন করেছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ । ফলে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে।

ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই বর্ষার ঝম ঝম বৃষ্টিতে গোবিন্দগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট, হাট বাজার পানিতে তলিয়ে যায় এবং কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। বৃষ্টির পানি জমে গোবিন্দগঞ্জ শহরের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের হাজি ক্লিনিকের সামনে থেকে হিরক মোড় এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মাঝে মধ্যে অর্ধ শতাধিক জায়গায় বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা ভাঙ্গা ইট, খোয়া, পিচ দিয়ে গর্ত ও খানা- খন্দক গুলো জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করলেও কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টির পানি জমে আবার আগের মতই খানা খন্দকের সৃষ্টি হচ্ছে।

এসব খানা-খন্দকে পড়ে যানবাহন উল্টে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই সাথে রাতে যখন দুরপালøার বাস-ট্রাক দ্রæতগতিতে চলার সময় খানা খন্দকে পড়ে পাড় হওয়ার সময় প্রচন্ড শব্দ ও ঝাকুনিতে আশ পাশের বাড়িঘর-দোকানপাট থর থর করে কাঁপতে থাকে। যেন প্রচন্ড আকারের ভুমিকম্প হচ্ছে। এছাড়া খানা খন্দকের কারণে ধীরে যানবাহন চলাচল করায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। একই অবস্থা গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কেও। বর্ষার শুরু থেকে দীর্ঘদিন এ অবস্থার কারণে দুরপাল্লার যাত্রীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হলেও দেখার যেন কেউ নেই।


(এসআরডি/এসপি/জুলাই ২৬, ২০১৭)