নিউজ ডেস্ক : আগামী ৩ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘সোনার তরী’ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের রেল বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমতি দেয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে কলকাতা-খুলনা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।

রেল সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণেই মেলেনি সবুজ সংকেত। ট্রেনের অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি। ফলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রেল বোর্ডের সদস্যরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পেলে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেবে না বোর্ড। তা ছাড়া, পরিকল্পনার সামান্য কিছু ত্রুটি এখনও রয়ে গিয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে সেটাও ঠিক করে নিতে চায় ভারতীয় রেল।

শুধু যাত্রীবাহী ট্রেনই নয়। কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত নিয়মিত কন্টেনার সার্ভিস (মালগাড়ি) চালানোর যে পরিকল্পনা হয়েছে, তারও অনুমতি আসেনি।

ভারতের পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এক সময় যাত্রী ট্রেন চলাচল করত। কলকাতা থেকে এই লাইন দিয়েই ছুটত উত্তরবঙ্গ ও আসামমুখি ট্রেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই লাইনে একটি সেনাদের ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় তারপরে আর ট্রেন চলেনি। পরে দু’দেশের মধ্যে ওই লাইনটিও ছিন্ন করে দেয়া হয়। কিন্তু মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদার কথা মনে রেখে ২০০১ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে দু’দেশের রেল মন্ত্রণালয় আলোচনার পরে পেট্রাপোল ও বেনাপোলের লাইনটি ফের সংযুক্ত করে।

তখন থেকেই ওই লাইনে ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক হয়। ঠিক হয়, এ বছরেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতোমধ্যে ওই রুটে একবার পরীক্ষামূলক ট্রেনও চলাচল করে। কথা ছিল এ বছর অগস্ট থেকে ওই রুটে নিয়মিত যাতায়াত করবে নতুন ওই ট্রেনটি। খবর আনন্দবাজার।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৯, ২০১৭)