নিউজ ডেস্ক : সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্রমেই আরও নিচে নেমে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। সরকারি হিসাবে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পানির স্তর চার থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত ভূগর্ভের নিচে নেমে গেছে।

ফলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে এখন মাটির উপরিভাগের অর্থাৎ পুকুর বা নদী-নালার পানির ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছে সরকার। তবে মাটির ওপরের পানি ব্যবহার শুরু হলে দূষণ বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পায় না। এসবের প্রেক্ষাপটে শনিবার থেকে ঢাকায় শুরু হয়েছে পানি বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশের একশ ভাগ মানুষ পানি পেলেও মাত্র ৮৭ শতাংশ মানুষ উৎসে নিরাপদ পানি পায়। তবে তা ব্যবহারের পর্যায়ে যেতে শেষ পর্যন্ত নিরাপদ থাকছে না।

এদিকে, পানি মাটির আরও নিচে নেমে যাওয়ায় ঢাকার জন্য আশপাশে তিনটি নদী থেকে পানি শোধন করা হচ্ছে। এছাড়া সারাদেশের যেসব পুকুর ও খাল শুকিয়ে গেছে তা পুনরায় খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ রকম প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুকুর পুনঃখনন করা হবে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনুষ্য সৃষ্ট কারণেই পানি অনিরাপদ হয়ে পড়ছে। এছাড়া পানি সংরক্ষণ, পাত্রের প্রকৃতি ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ওপরও পানি নিরাপদ থাকা নির্ভর করে।

এছাড়াও দেশের দুই কোটির বেশি মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন। সেইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় বাড়ছে লবণাক্ততা। ফলে নিরাপদ পানির স্বার্থে এসব সমস্যা মোকাবেলায় চেষ্টা করছে সরকার।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩০, ২০১৭)