মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া : কেউ ব্যস্ত ফেসবুকে চ্যাটিং কিংবা ষ্টাটাস লিখতে। কেউবা ব্যস্ত গান কিংবা ছকি শেয়ারিং করতে। শিক্ষকরা পাঠদানে ব্যস্ত থাকলেও ক্লাস কিংবা কোচিংয়ে (অতিরিক্ত ক্লাস) প্রায়ই ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল নিয়ে গোপনে এসব কাজ করতে ব্যস্ত থাকে। তাই শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠে মনোযোগী করতে ক্লাস রুম থেকে মোবাইল আটক অভিযান শুরু করেছে শিক্ষকরা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার প্রত্যন্তপল্লী চরচাপলী ইসলামী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক মো. আব্দুর রহমান এ উদ্যোগ নেন। তাঁর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এ বিদ্যালয়ে অস্টম শ্রেণির অতিরিক্ত ক্লাস চলাকালীন ছাত্রদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করেন। এ বিদ্যালয়ে প্রায়ই ক্লাস চলাকালীন এ মোবাইল জব্দ অভিযান চালান শিক্ষকরা।

শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে আসলেও পড়ায় মনোযোগী না হয়ে তারা মোবাইল নিয়ে সহপাঠীদের সাথে ফেসবুক,ম্যাসেজিং কিংবা গান,ছবি শেয়ারিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এতে তারা সঠিক পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের বইমুখী করতে তাদের এই উদ্যোগ।

একাধিক অভিভাবক জানান, ছেলে-মেয়েরা তাদের অজান্তে মোবাইল নিয়ে স্কুলে যায়। আবার অনেক অভিভাবক সন্তানকে মোবাইল কিনে দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সন্তানের সাথে যোগাযোগের জন্যই তারা মোবাইল হাতে দিয়েছেন। কিন্তু তা ক্লাস রুমে চালানোর জন্য না। তবে শিক্ষকদের এ উদ্যোগকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সচেতন মহলের দাবি, শহরের স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাসরুমে এ মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতা বেশী। তাই শহরের স্কুল-কলেজ গুলোতেও ক্লাসরুমে মোবাইল ব্যবহার বন্ধে শিক্ষকদের এভাবে অভিযান চালানো উচিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী আলী আহম্মেদ জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রায় ৭৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী। প্রত্যন্ত এলাকা হলেও শিক্ষার মান ভালো হওয়ার কারনে তাদের বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হচ্ছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ও ভালো ফলাফলের জন্য তারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

(এমকেআর/এএস/আগস্ট ১১, ২০১৭)