স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আবারও আমরা দুঃসময়ে পতিত হয়েছি। আবারও আমরা চক্রান্তের মুখে পড়েছি। বাংলাদেশের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য আবারও ষড়যন্ত্র চলছে।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে একটি দল বিষধর সাপের মতো সুযোগ পেলেই ছোঁবল মারবে। জনগণকে সাথে পায় না। তখন আবার গর্তে ঢুকে যায়। ইস্যুর পর ইস্যু খোঁজে। তাদের সকল ইস্যুই মাঠে মারা যায়। এদের রাজনীতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার ওপর সংকটের দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। এরা সাড়ে আট বছরে আন্দোলন করতে পারেনি, বাংলাদেশের মানুষ জানে। বিএনপির শাসনামল মানেই হচ্ছে, সারি সারি লাশ, পুড়িয়ে মারা মানুষের লাশ। আর লুটপাটের হাওয়া ভবনের অপর নাম হচ্ছে বিএনপি।’

তিনি আরো বলেন, ‘তারা আবার ক্ষমতায় আসলে কী হতে পারে? বাংলাদেশ ভয়ঙ্কর অমানিশায় পতিত হবে।’

ষোড়শ সংধোনীর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটা রায়কে ব্যঙ্গ করে মনে হয় ক্ষমতায় সিংহ দরজার কাছাকাছি চলে এসেছে। আবার গর্ত থেকে উঠে এরা লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে। এদের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মোকাবিলা করতে হবে। এই প্রস্তুতির আহ্বান জানাতে এসেছি নেত্রীর পক্ষ থেকে। আপনারা মানসিকভাবে প্রস্তুত হোন, রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হোন, সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত হোন এই বিএনপি নামক অপশক্তির ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করতে। ইনশাল্লাহ আমরা এদেরকে পরাজিত করে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হব।’

সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ত্যাগ করতে শিখুন, ভোগ নয়। ক্ষমতার রাজনীতিতে ভোগের লিপ্সা আসবে, তাড়না করবে, কিন্তু আদর্শকে বিকিয়ে দিয়ে যে ভোগ, সে ভোগ কোনো সুফল আমাদের দেবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জেনে খুব খুশি হয়েছি, এখানে টাকা-পয়সা নিয়ে কমিটি করা হয় না। এটা খুব খারাপ। এটা যারা করে তারা দলের ক্ষতি করে, নিজের ক্ষতি করে। দেশের ক্ষতি করে। যোগ্য কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের এই পার্টিতে জায়গা দেবেন না। খারাপ লোকদের নিয়ে দল ভারী করার দরকার নেই।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ফজলে নূর তাপস এমপি প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৭)