নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করার ঘটনায় বর ও কনে পক্ষের লোকজনের একাধিকবার মারপিটসহ হত্যার হুমকি দেয়ায় নির্যাতিত একটি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের চক দারসা গ্রামে। মারপিট ও হত্যার হুমকির ঘটনায় নির্যাতিত  মামুনুর রশিদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

জানা গেছে, গত ২৪ আগষ্ট রাতে ওই গ্রামের মোঃ আব্দুস ছাত্তারের ছেলে মোঃ মিঠুন (২৫) এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী চকরাজা গ্রামের মোঃ আমজাদ হোসেনের মেয়ে সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণী ছাত্রী মোছাঃ রেমি খাতুনের (১৫) বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে দারসা গ্রামের মোঃ আশরাফুল ইসলামের ছেলে মামুনুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেনকে এ বিষয়টি অবহিত করে। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র বর এবং কনের বাড়িতে ওই রাতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন। অপর দিকে ওই গ্রামের একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বাল্যবিয়ে ওই রাতে বন্ধ করলেও পরের দিন রাতে এ বিয়ে সম্পূর্ণ করা হয়।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ বাল্যবিয়ে বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনকে অবহিত করার অভিযোগে মামুনুর রশিদকে গত ৩ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বর এবং কনের পিতা ও তাদের ভাই ভাতিজারা কয়েক দফা মারপিট করাসহ মামুনুর রশিদের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। দফায় দফায় মারপিট এবং হত্যার হুমকির পর তার পরিবারসহ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন।

বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া ঘটনার জের ধরে ওই মারপিটের সত্যতা স্বীকার করে মহাদেবপুর থানার ওসি তদন্ত মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে আপোস-মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন তিনি।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭)