E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা, সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

২০১৯ জুলাই ২৫ ১৩:৩১:৩৯
ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা, সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকার এ চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন।

এদিকে সাঈদীর হাজিরা উপলক্ষে আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সাঈদীকে একনজর দেখতে আদালতে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে আদালত এলাকায় গিয়ে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দেখা যায়। কোর্ট চত্বরে একটি থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। একইসঙ্গে প্রচুর মানুষ দেখা যায় যারা সাঈদীকে একনজর দেখতে সেখানে ভিড় করেছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করছেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালতে মামলার শুনানি চলছে।

এ মামলায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ মোট ১০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে পলাতক আছেন ৪৬ জন। এছাড়া জামিনে আছেন ৬১ জন, যারা প্রত্যেকেই আজ আদালতে হাজির ছিলেন।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিম জানান, প্রথমে এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ৩৫ জন যেখানে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিল না। পরে পুলিশি তদন্তে তাকে এ হত্যাকাণ্ডের হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করছেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালতে মামলার শুনানি চলছে।

ছাত্রলীগ কর্মী হত্যার এ মামলাটি আগে মহনগর দয়রা জজ আদালতে থাকলেও ২০১৮ সালের ৫ মে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে খুন করে মরদেহ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহলে ফেলে দেয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেয় হামলাকারীরা।

পরদিন এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

২০১২ সালের ৩০ জুলাই নগরীর রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test