E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দুয়ায় ৬৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

২০১৭ অক্টোবর ০৩ ১৮:৪০:১১
কেন্দুয়ায় ৬৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) :  নেত্রকোনার সর্ববৃহৎ কেন্দুয়া উপজেলায় ১শ ৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে র্দীঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে এ সব বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ  পরিচালনা ও একাডেমীক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ১শ ৮২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৪৭ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যেই ৬৮ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, ৫ জন সহকারী শিক্ষক ও ৪ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ দীর্ঘ ধরে শূণ্য রয়েছে। কিন্তুু এসব পদ পূরনের ক্ষেত্রে  কর্তৃপক্ষ একেবারেই উদাসীন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায় ১শ ৮২ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৮ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। পদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে আবেদন নিবেদন করা হচ্ছে একাধিকবার। তাছাড়া ৫ জন সহকারী শিক্ষক এবং ৪ জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদ পূরণেও একই ভাবে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল হচ্ছে না।

অপরদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলায় বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পদপদবী নিয়ে সরাসরি জড়িত আছেন। তারা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না গিয়ে প্যারা শিক্ষক নিয়োগ করে দায়সারাভাবে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কর্তৃপক্ষ এ সব দেখেও রাজনৈতিক দলের প্রভাবের কারণে কোন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না বলেই মনে হয়। অভিযোগ ওঠেছে বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভীন পপি একটি মহিলা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পদপদবী নিয়ে জড়িত আছেন।

এলাকাবাসী জানান, তিনি দিনের পর দিন মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে না গিয়ে একজন প্যারা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। তার এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদ সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা কমিটিতে আলোচনা হলেও মূলত কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

বলাইশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম এ বিষয়ে বলেন, এলাকাবাসী উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে অনেকবার সুলতানা পারভীন পপির কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। শিক্ষকরা রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন না এ বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমদাদুল হক মঙ্গলবার বলেন ৬৮ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা, পরিচালনা ও একাডেমীক কার্যক্রমের গতি হারাচ্ছে।

শিক্ষকরা রাজনীতির সাথে জড়িত এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ ফেলে আমরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাছাড়া এ বিষয়টির সমাধানে সকলকে আন্তরিক হতে হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ৬৮ টি প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণের ক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিষয়টির এখতিয়ার মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের। কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে না গিয়ে রাজনীতি করেন, প্যারা শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয় চালান এ বিষয়টি লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্তপূর্বক কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এদিকে সহকারী শিক্ষক সুলতানা পারভীন পপির সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test