E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

২০১৭ নভেম্বর ২৮ ১৭:২৩:৪৬
আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে প্রায় ৬০-৭০ মণ পরিত্যক্ত সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর বাজারে বই কেনার একাধিক দোকানদার রয়েছে। প্রধান শিক্ষক গোপনে এই বইগুলো বিক্রি করার জন্য বাজারের এক বই ক্রেতার সঙ্গে প্রথমে আঁতাত করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেই ক্রেতার কাছে বইগুলো বিক্রি না করে বেশি লাভের আশায় বাজারের অমর ডেকোরেটরের দোকানে রিপন নামে অপর এক বই ক্রেতার কাছে বইগুলো বিক্রি করেন। এতে আগের বই ক্রেতা ক্ষুদ্ধ হয়ে এই বই বিক্রির ঘটনাটি বাজারে ফাঁস করে দেন। আর এরপর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে তোলপাড়।

সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৪ নবেম্বর) দিনগত রাত অনুমান ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে ও বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আমান সরদারের সহযোগিতায় ভটভটি যোগে ভবানীপুর বাজারের ভাঙ্গারী জিনিস বিক্রেতা খন্দকার রিপনের কাছে গড়ে ২০টাকা কেজি দরে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কেজি বই বিক্রি করেন। এতে অনুমান প্রায় ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকার বই বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। বাজারের স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারেন।

এরপর থেকে ওই এলাকায় এই বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এক পর্যায়ে বই বহনকারী ভটভটি চালক মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের বই আমি বিক্রি করেছি তাতে অন্যের কি।

স্থানীয় ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানার জন্য যাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরন করেন। তিনি আরো জানান আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি।

মঙ্গলবার বিকেলে এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহবুুব হোসেন জানান, এটা সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। সমাজে আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল এই মিথ্যে গুজব প্রচার করছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বিগত বছরের পুরনো বইগুলো বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কিংবা অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিক্রি করতে পারেন। এই বিষযটি তার আওতার মধ্যে পড়ে না। তবে রাতের আঁধারে বই বিক্রি করা কতটুকু সমীচীন, এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

(বিএম/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test