E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম আবির্ভাব তিথি উদযাপিত

২০১৮ জানুয়ারি ১২ ২০:০১:৩২
সাতক্ষীরায় স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম আবির্ভাব তিথি উদযাপিত

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ‘বীর সেনাপতি বিবেকানন্দ ওই যে ডাকিছে আয়রে আয়, আহবানে তার আপনা ভুলিয়া কত মহারথী ছুঁটিয়া যায়।’ গানের এমনও সব পংক্তি গানের সুরে উচ্চারনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৫তম আবির্ভাব তিথি।

এ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুর ১২টায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে বিবেকানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠণের সভাপতি নির্মল দাস। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতির সাবেক সভাপতি মঙ্গল কুমার পাল।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মন্দির সমিতি ও পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, প্রাণনাথ দাস, নিত্যানন্দ আমিন, হরিপদ ঘোষ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ ছোট বেলায় বিলে নামে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সান্নিধ্যে এসে আমেরিকার চিকাগো শহরে এক বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগ দিয়ে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে দেন। ইংরেজিতে বক্তৃতা করে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে
তিনি বিশ্বব্যাপি আলোচিত হয়েছেন। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভগ্নিনিবেদিতা তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

বিবেকানন্দ হিন্দু সম্প্রদায়ের সামগ্রিক কল্যানে দেশব্যাপী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। বেলুড় মঠ তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার জীবনাদর্শকে যুবসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে আদর্শ জাতি ও দেশ গঠণে ভূমিকা রাখতে হবে। তার আদর্শকে পাথেয় করে আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
সভায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা স্নিগ্ধা দাস তার জীবনের শেষ সম্বলটুকু ব্যয় করে ছাত্রবাস তৈরি করে যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তার ভুয়সী প্রশাংসা করেন বক্তারা।

সকাল সাতটায় প্রার্থনা, আটটায় বিবেকানন্দ রচিত সঙ্গীত পরিবেশন, ৯টায় শেভাযাত্রা, দুপুর দেড়টায় প্রসাদ বিতরন ও সন্ধ্যায় দুস্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test