E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাঁধ কেটে রাস্তা! দেখার কেহ নাই ?

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০২ ১৭:৫৯:৩২
বাঁধ কেটে রাস্তা! দেখার কেহ নাই ?

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের সিচা গ্রামে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে রাস্তা করে মাটি তোলা হচ্ছে। এতে করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের সময় ওই স্থানে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়া বর্ষা মৌসুমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গ্রামবাসী জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়া গ্রামের মোনতাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি পুকুর ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য যোগীরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সিচা গ্রামের ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উত্তর পাশে জমি থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি তুলে আনছেন। অতিরিক্ত মাটি বহন করার কারণে একটি ট্রাক্টর উঠতে না পারায় বৃহস্পতিবার কোদাল দিয়ে বাঁধ কেটে নিচু করা হয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধ কাটতে নিষেধ করলেও কথা না মেরে শ্রমিকরা বাঁধ কেটে নিচু করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অতিরিক্ত মাটিবোঝাই একটি ট্রাক্টর বাঁধের উপরে উঠতে না পারায় বাঁধ কোদাল দিয়ে কেটে নিচু করছেন চারজন শ্রমিক। বাঁধ কাটতে আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামবাসী নিষেধ করলেও শ্রমিকরা কাজ থামাননি। পরে বাঁধ কেটে নিচু করে অতিরিক্ত মাটিবোঝাই ট্রাক্টরটি তোলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানায়, বাঁধ কাটতে নিষেধ করলেও শ্রমিকরা ট্রাক্টরটি ওঠানোর জন্য বাঁধ কাটতে শুরু করে। মাটি কম করে নেওয়ার জন্য বলা হলেও তারা তা শুনছে না। অতিরিক্ত মাটি বহন করার কারণে বাঁধটি কেটে নিচু করা হয়েছে।

এছাড়া ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন থেকে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়ন পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারেরও বেশি অংশ ঘুরে দেখা গেছে, কেবলমাত্র বন্যার সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামত ছাড়া কোনো প্রকার সংস্কার কাজ না করায় অসংখ্য স্থান অনেক নিচু হয়ে গেছে। অসংখ্য স্থানে ইদুরের গর্ত। ফলে চলাচলে মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মোনতাজ উদ্দিন বলেন, মাটি দেয়ার বিষয়ে ট্রাক্টর চালকদের সঙ্গে আমার ফাইনাল কথা হয়নি। আমি তাদেরকে বাঁধও কাটতে বলিনি। তারা ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার নাম ব্যবহার করেছেন। তখন আমি সেখানে ছিলামও না।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসী আমাদেরকে জানায়নি। বিষয়টি জানা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের লোক পাঠিয়ে দেখা হবে। স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে যদি বাঁধের ক্ষতি হয় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।


(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test