E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গণধর্ষণ মামলায় ইউপি মেম্বার গ্রেফতার

গলাচিপায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ  

২০১৮ এপ্রিল ০৪ ২২:৩৫:৪০
গলাচিপায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ  

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা রেকর্ড হয়েছে। এরমধ্যে একজন গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলায় পুলিশ পানপট্টি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলামকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। মামলা দুটির অপর আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। 

পুলিশ ধর্ষিতদের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

থানা পুলিশ ও ধর্ষিতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলারাম গ্রামের ২৮ বছরের ওই গৃহবধূকে তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। গৃহবধূ এর প্রতিকার চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রফিকুল ইসলামের কাছে নালিশ করে। মেম্বার প্রতিকারের আশ্বাস দিয়ে ওই গৃহধূর বাড়ি যাতায়াত শুরু করে এবং বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেয়। গৃহবধূ কুপ্রস্তাব প্রত্যাখান করে।

ঘটনার দিন গত ১৩ মার্চ রাতে ওই গৃহবধূ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যায়। আগে থেকে সেখানে মেম্বার রফিকুল ইসলাম সঙ্গী স্থানীয় ধলু গাজীর ছেলে মোঃ আক্কাছকে (৩০) নিয়ে ওৎ পেতেছিল। গৃহবধূকে একা পেয়ে রফিক ও আক্কাছ জোর করে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায় এবং গৃহবধূকে উপুর্যুপুরী গণধর্ষণ করে।

গৃহবধূকে কামড়ে আছড়ে ধর্ষকরা রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিত ওই গৃহবধূ চিকিৎসা শেষে স্থানীয় থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়। অবশেষে ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে গত ২০ মার্চ পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দু’জনকে আসামি করে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে। আদালতের বিচারক ওই দিনই গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ ও তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম মোল্লা জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি মেম্বার রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

অপর ধর্ষণের মামলাটিও পুলিশ একই সময়ে রেকর্ড করেছে। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, চরকাজল ইউনিয়নের চরবড়শিবা গ্রামের ২০ বছরের তরুণীর সঙ্গে চরবিশ্বাস কে আলী কলেজে এইচএসসি পড়ার সময়ে চরবিশ্বাস গ্রামের বাবুল মৃধার ছেলেস হপাঠি মাসুম মৃধার (২১) পরিচয় থেকে ঘনিষ্টতা হয়।

মাসুম মৃধা বিভিন্ন সময়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সহপাঠি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এক সময়ে মাসুম মৃধা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নিরুপায় তরুণী শেষ পর্যন্ত থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ নজরুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষক মাসুম মৃধা বর্তমানে ঢাকায় রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উভয় ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠান হয়েছে বলেও পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

(এসডি/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test