E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার, ভোগান্তিতে বড়বাইশদিয়ার ১৫ হাজার মানুষ

২০১৮ এপ্রিল ০৭ ১৭:৩৩:৫৪
ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার, ভোগান্তিতে বড়বাইশদিয়ার ১৫ হাজার মানুষ

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পারাপারে নেই কোন ব্যবস্থা। দু’পারে একই ইউনিয়নের প্রায় সম সংখ্যক লোকের বাস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিদিন আসা যাওয়া। পারাপারে ঝঁকিপূর্ণ নৌকা ছাড়া নেই কোন ব্যবস্থা। এমন ভোগান্তিতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, এক সময়ের দারছিরা নদীকে এখন আর নদী বলা যায়না। তুলনা করতে গেলে বলা যায়, ‘ঢাকার তুরাগ নদী’। উপকূলীয় এলাকার হিসেবে, তুরাগকে যেমন নদী বলা যায়না, বর্তমান দারছিরাকেও নদী বললে অত্যুক্তি হয়ে যায়। মাঝ খানে ভরাট হয়ে জন বসতিতে পরিপূর্ণ অনেক আগেই। দু’পাশে বয়ে গেছে দারছিরার অংশ বিশেষ। পশ্চিম অংশ বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত। মাত্র ৩০০ মিটারের মত চওরা, গভীরতায় ৮/৯ ফুট হবে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।

সর্বশেষ ২০১০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের আওতায় উত্তরে মোল্লার চর, দক্ষিনে মধুখালী, প্রায় ৬ কিলোমিটার ব্যবধানে ক্লোজার করে আটকে দেয়ায় মরা নদীতে রুপান্তরিত হয়েছে দারছিরা। পূর্ব পারে একই ইউনিয়নের চর গঙ্গা, চর হালিম, পশ্চিম পারে কাটাখালী, গাববুনিয়া, বারো নম্বর ডিগ্রি গ্রাম। উভয় পারে প্রায় সমান সংখ্যক লোকের বসবাস। ৮ কিলোমিটারের মত ব্যবধানে ক্লোজার নির্মিত হলেও মাঝখানে পারাপারে নেই কোন ব্যবস্থা। ভোগান্তিতে দু পারের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ।

মাঝামাঝি স্থান চর গঙ্গায় রয়েছে আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, সাইক্লোন সেল্টার। পশ্চিম পারে কাটাখালী এ হাকিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাববুনিয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ কয়েকটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আসা যাওয়া করে এপার ওপার।

এ ছাড়াও চরগঙ্গা, চর হালিমে ভোট কেন্দ্র না থাকায় ভোটের সময় ভোটারদের যেতে হয় কাটাখালী, গাববুনিয়া ভোট কেন্দ্রে। ভরশা শুধু এমদাল মাঝি আর ফাকু গাজীর তিন তক্তার খেয়া নৌকা। আসা যাওয়ায় ১০ টাকা ভাড়া। তারও নেই কোন নিশ্চয়তা। খেয়া ঘাটে তীর্থের কাকের মত চেয়ে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা, কখন আসবে ওপার থেকে খেয়া।

স্থানীরা জানান, অপেক্ষায় থাকা ক্লান্ত যাত্রীদের অনেক সময় ঘুমিয়ে পরতে দেখা যায় দুব্বা ঘাসের উপর আবার কখন ও বা গাছের সাথে হেলান দিয়ে। এলাকাবাসীর দাবি, দুই ক্লোজারের মাঝামাঝি কাটাখালী খাল সংলগ্ন স্থানে একটি ব্রিজ হলে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী সহ দু’পারের অন্তত কয়েক হাজার লোক ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবে।

চর গঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা বেগম জানান, কাটাখালী খালের গোড়া দিয়ে চর গঙ্গার সাথে আর একটা ক্লোজার অথবা ব্রিজ একান্ত প্রয়োজন। এতে দু পারের স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের আসা যাওয়ায় আর কোন অসুবিধা থাকেনা।ব

ড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হাসানাত আবদুল্লাহ জানান, খেয়া নৌকার উপর ভরসা করে মানুষ আসা যাওয়া করে। মাঝামাঝি জায়গায় অন্তত একটি ক্লোজার হলে ছাত্র-ছাত্রী সহ সব ধরনের মানুষের পারাপারে আর কোন অসুবিধা থাকবেনা।

(এসডি/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test