E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দ্বিতীয় দিনেও শুরু হয়নি ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার কাজ 

২০১৮ এপ্রিল ১৬ ১৮:৪৪:১৩
দ্বিতীয় দিনেও শুরু হয়নি ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার কাজ 

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : সুন্দরবনের মধ্যে মোংলা বন্দর চ্যানেলে পশুর নদীর হারবাড়িয়ায় ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই এমভি বিলাস নামের ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি উদ্ধার কাজ দ্বিতীয় দিনেও শুরু হয়নি।

রবিবার ভোরে এই জাহাজ ডুবির পর এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ডুবন্ত জাহাজটির মার্র্কিং স্থাপন করা হয়েছে। মার্র্কিং থাকায় বন্দর চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মোংলা বন্দর।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. এমদাদুল হকের নের্তৃত্বে একটি দল পরিবেশের ক্ষয়খতি নিরুপনে পশুর নদীর র্দূঘটনাকবলীত স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া ডুবন্ত কয়লার জাহাজ থেকে যাতে কোন ধরণের বর্জ্য ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সদ্য ক্রয়কৃত বন্দরের নিজস্ব বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ পশুর ক্লিনার-১ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়লা বোঝাই এই লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় গতকাল বিকেলে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান।

এদিকে সুন্দরবনে কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পশুর নদীকে কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবিতে সুন্দরবনের গাছের শ্বাসমূলসহ জীববৈচিত্র্য ও জলজ-প্রাণির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করবে। কারণ ইটভাটা ও সিরামিক কারখানাগুলোতে ব্যবহারের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানীকৃত কয়লা সাধারণত নিচুমানের।

কয়লায় সালফার ডাই-অক্সসাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনো- অক্সাইড, কার্বন ডাই - অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি সুন্দরবনের পানি, জীব ও বায়ুমন্ডলকে দূর্ষিত করবে। আর কয়রার ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস সুন্দরবনের শ্বাসমূল উদ্ভিত ও ডলফিনসহ মাছের প্রজননের ক্ষতি করবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, ডুবন্ত নৌযানটি উদ্ধারে মালিকপক্ষ প্রয়োজনীয় ক্ষমতা সম্পন্ন বার্জসহ অন্যান্য মালামাল সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লাইটার কার্গোটির মালিকপক্ষ নির্দেশনা উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থাসহ কার্গোটির মালিকানা বাতিল করে উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে ‘নো লস, নো প্রোফিট’ চুক্তি ভিত্তিতে এটি অপসারণ করা হবে। আর লইাটার কার্গোটি বন্দরের মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবে যাওয়ায় সেক্ষেত্রে নৌযান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটছে না। এছাড়া ডুবন্ত কয়লার জাহাজ থেকে যাতে কোন ধরণের বর্জ্য ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সদ্য ক্রয়কৃত বন্দরের নিজস্ব বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ পশুর ক্লিনার-১ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) মো. মাহামুদুল হাসান সোমবার দুপুরে সুন্দরবনে পশুর নদীতে দুর্ঘটনাকবলিত স্থান পরিদর্শন করেন।

ডিএফও বলেন, সোমবার রাতের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সুন্দরবন বিভাগ। ডুবে যাওয়া লইটার জাহাজটি এখন ভাটার সময় জাহাজটির মাষ্টার ব্রিজের আশিংক দেখা গেলেও জোয়ারের সময় জাহাজটি পুরোপুরি তলিয়ে থাকছে।

(এসএকে/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test