E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বামীকে হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

২০১৮ মে ২১ ১৬:৫৯:৩৯
স্বামীকে হত্যায় স্ত্রী ও প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের দক্ষিণ কুমারীজোলা গ্রামে পরোকীয়ায় জড়িয়ে স্বামী আল-আমীনকে (৫৫) ২০১৫ সালের  ১৬ মার্চ রাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার দায়ে স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও তার প্রেমিক শাহজাহান শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় প্রদান করেছে আদালত। 

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাইফুল শেখ নামে অপর একজনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন এরায় প্রদান করেন। আদালত একই মামলায় ভিকটিমের লাশ গুমের ঘটনায় অপর আদেশে তাদের দুইজনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা বা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমারিয়াজোলা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪৬) ও একই গ্রামের মিরাজ উদ্দিন শেখের ছেলে শাহজাহান শেখ (৬০)। ফাতেমা বেগম নিহত আল আমিন শেখের স্ত্রী ও ফাতেমার প্রেমিক শাহজাহান শেখ। রায় প্রদান কালে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত ফাতেমা বেগম (৪৬) ও তার প্রেমিক শাহজাহান শেখ (৬০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী এ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথ জানান, ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কুমারিয়াজোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে ফাতেমা বেগম (৪৬) ও প্রেমিক শাহজাহান শেখ (৬০) একজোট হয়ে পরিকল্পিত ভাবে তার স্বামী আল আমীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রান্না ঘরের পাশে গোসলখানায় মাটির নিচে লাশ পুতে রাখে। তাকে খুজে না পেয়ে ছেলে মোহাম্মাদ আলী শেখ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরে পুলিশ আল আমীনের মোবাইল ট্রাকিং করে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করে। ফাতেমা বেগমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনার ৩ মাস পর একই বছরের ১৭ জুন রান্না ঘরের পাশে গোসলখানার নিচে মাটিতে পুতে রাখার আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরের দিন ১৮ জুন নিহত আলআমীনের দুলাভাই মো. মোবারক আকন বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ জুন সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাইফুল ইসলাম ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। স্বাক্ষী প্রমান শেষে আদালত একজনকে খালাস ও দুইজনকে ফাসির আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ও এ্যাডভোকেট সীতা রাণী দেবনাথ । আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট কুহেলী পারভীন।

(এসএকে/এসপি/মে ২১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test