E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কার ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার, এলাকায় ফিরেছে আতংকিত লোকজন

২০১৮ জুন ০২ ২২:৫৮:১৬
বাগেরহাটে গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কার ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার, এলাকায় ফিরেছে আতংকিত লোকজন

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাটের রামপালে যমুনা এলপিজি গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লড়ি রাস্তার পাশে উল্টে পড়ার পর ট্যাঙ্কার থেকে গ্যাস আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ার ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। 

উদ্ধারকৃত এলপিজি গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লড়িটি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেও প্রহরায় সন্ধ্যায় মোংলার যমুনা’র এলপিজি প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে খুলনা মোংলা মহাসড়কের বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন এলপিজি গ্যাস বোঝাই এই ট্যাঙ্ক লড়িটি মহাসড়কের পর্শে দূর্ঘটনায় পড়ে।

দূর্ঘটনার পর এলাকায় গ্রাস ছড়িয়ে পড়ায় ভোর থেকেই সোনাতুনিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার সকল দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া এলপিজি গ্যাসে যাতে ওই এলাকায় বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য মাইকিং করে জনসাধারনকে এলাকা ছেড়ে যেতে ও আগুন না জ্বালাতে বলা হয়। বাগেরহাট ও খুলনার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দূর্ঘটনা উদ্ধার কাজ কাজ শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায ৩০ টন ধারন ক্ষমতার দুইটি ক্রেনের সাহায্যে উল্টে যাওয়া গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারটি উদ্ধার করা হয়। গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারটি উদ্ধারের পর এলাকায় লোকজন ফিরে এসেছে। দূর্ঘটনায় লড়ির চালক আব্দুল করিম ও তার সহকারি শহীদুল্লাহ আহত হয়েছেন। তাদের খুলনায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, দূর্ঘটনার পর ট্যাঙ্কার ফেটে গ্যাস বের হওয়া শুরু করে। এই গ্যাস আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইফনিট ভোর থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু করে। দূর্ঘটনাস্থল সোনাতুনিয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার সকল দোকানপাঠ বন্ধ করে দেয়া হয়। ছড়িয়ে পড়া এলপিজি গ্যাসে যাতে ওই এলাকায় বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য মাইকিং করে জনসাধারনকে এলাকা ছেড়ে যেতে ও আগুন না জ্বালাতে বলা হয়। সন্ধ্যা ৬টায ৩০ টন ধারন ক্ষমতার দুইটি ক্রেনের সাহায্যে উল্টে যাওয়া গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারটির উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত এলপিজি গ্যাসবাহী ট্যাঙ্ক লড়িটি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদেও প্রহরায় সন্ধ্যায় মোংলার যমুনা’র এলপিজি প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারটি উদ্ধারের পর এলাকায় লোকজন ফিরে এসেছে।

যমুনা গ্যাস প্লান্টের ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, মোংলা প্লান্ট থেকে এই গ্যাসবাহী লড়িটি বগুড়া প্লান্টে যাচ্ছিল। ছড়িয়ে পড়া এই গ্যাসে মানবদেহের কোন ক্ষতির আশংকা ছিলোনা। তবে আশপাশের এলাকায় মানুষদের কোন ধরনের আগুন না জ্বালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। উদ্ধারকারি যানের অভাবে লড়িটি উদ্ধার কাজে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা বলছেন, সকাল থেকে আমরা আতংকিত অবস্থায় ছিলাম। কেউ আগুন জ¦ালাতে বা রান্না করতে পারিনি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস থেকে মাইকিং করার পর এলাকা ছেড়ে সবাই প্রায় ১৪ ঘন্টা দূরে অবস্থান করেছি। রোজার সময়ে রান্না ও ইফতার করতে আমরা আমাদেও অসুবিধা হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রশাসনের লোকজন দূর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক করা হয়। গ্যাসের লড়িটি তোলার সময় আশেপাশের সবাইকে সরে যেতে আবারও মাইকিং করা হয়।

রামপাল থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে মোংলায় অবস্থিত যমুনা গ্যাস প্লান্ট থেকে ১৪ চাকার একটি ট্যাঙ্ক লড়ি সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন এলপিজি গ্যাস নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। কিভাবে ওই লড়িটি উল্টে গেছে তা কেই জানাতে পারেনি। ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধারকারী যান পৌছানোর পর তা উদ্ধার করা হয়েছে।

(এসএকে/এসপি/জুন ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test