বাগেরহাটে আ. লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন, আটক ৩

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : বাগেরহাট- ১ (সদর ও কচুয়া) আসনের আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আগুনে নির্বাচনী কার্যালয়ের বেড়া, পোষ্টার, প্যানা ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে।

বুধবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের সোতাল গ্রামের ওই নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বৃহষ্পতিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আওয়ামী লীগ আগুনের ঘটনায় বিএনপি জামায়াতকে দায়ি করছেন। আটককৃতরা সবাই বিএনপির সমর্থক। তবে তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ।

তবে বিএনপি আওয়ামী লীগের করা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানায় বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কমলেশ ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে জামায়াত বিএনপির ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম শেখ সারহান নাসের তন্ময় আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে শেখ তন্ময় প্রতিদ্বন্দ্বি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ সালাম।

বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কমলেশ ভট্টাচার্য্য বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পরিচালনার জন্য সোতাল গ্রামে একটি অস্থায়ী কার্যালয় থেকে নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছিল। বুধবার রাত একটা পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষ করে কার্যালয় থেকে সবাই বাড়িতে চলে যাই। রাতের কোন এক সময়ে জামায়াত বিএনপির সমর্থকরা প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমাদের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভায়। আগুনে আমাদের কার্যালয়ের বেড়াসহ পোষ্টার, প্যানা ও বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, বুধবার রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয়। এতে কার্যালয়ের বেড়া, কাঠের একটি টেবিল, বেশকিছু প্লাস্টিকের চেয়ার, পোস্টার, প্যানা পুড়ে গেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই গ্রাম থেকে তিনজনকে আটক করেছে।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর আসনের প্রার্থী এম এ সালাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুনের ঘটনায় আমাদের দলের কোন নেতাকর্মী সম্পৃক্ত নয়। ওই আগুনের ঘটনায় কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে পুলিশের কাছে দাবি জানান ওই প্রার্থী।

(এসএকে/এসপি/ডিসেম্বর ২০, ২০১৮)