E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রানীশংকৈলে কৃমির ওষুধ পাই নি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

২০১৯ মে ০৭ ১৩:১৩:১৫
রানীশংকৈলে কৃমির ওষুধ পাই নি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা

রানীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার নুরানী হাফেজিয়া ও এতিমখানা লিল্লাহবোডিং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পাইনি সরকার কতৃক বিনামুল্যে বিতরণ করা কৃমি নিয়ন্ত্রন ট্যাবলেট। শারীরিক দুর্বলতা পুষ্টিহীনতা মেধা শক্তি কমে যাওয়াসহ কৃমিজনিত নানান রোগ হতে রক্ষার জন্য।

সরকার কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ ঘোষনা করে বছরে দুইবার কৃমি ট্যাবলেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতরণ করে থাকে এবং উৎসাহ প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই ক্ষুদ্রে ডাক্তার তৈরী করে শিক্ষার্থীদের কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।
তবে এ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা ও পৌর শহরে অবস্থিত নুরানী হাফেজিয়া ও এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের ৬ এপ্রিল পৌরশহরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহের উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বার। এ বারে ৬৩ হাজার শিশুকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্য মাত্রা ছিলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কতৃপক্ষের।

সম্প্রতি পৌরশহরের রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহবোডিং এতিম খানা, জান্নাতুন মাওয়া আর্দশ মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা আল আমানহ ইসলামিক একাডেমী। রাবেয়া বসরী মহিলা নুরানী হাফেজিয়া ও ক্বাওমী মাদ্রাসা লিল্লাহবোডিং ও এতিমখানায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কেউ আরবি হরফ পড়ছে কেউ বাংলা পড়ছে। এ সময় কথা হয় শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনারা এ বছরে কৃমি ট্যাবলেট খেয়েছেন কিনা তারা। এ প্রতিবেদকের কথা শুনে তাদের শিক্ষকের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন শিক্ষক যখন বললো না খাইনি তখন সবাই এক সুরে বললো না আমরা এ বছরে কৃমি ট্যাবলেট খায় নি।

এটি রানীশংকৈল কেন্দ্রীয় নুরানী হাফেজিয়া এতিমখানা লিল্লাহবোডিং এতিমখানার চিত্র। এ সময় ঐ মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাজেদুর রহমান বলেন, আমার মাদ্রাসায় প্রায় ১৭০ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে রয়েছে আমি একটি কৃমির ট্যাবলেট পায়নি।

একই চিত্র উল্লেখিত মাদ্রাসাগুলির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও তারাও কৃমির ট্যাবলেট পায় নি। উপরে উল্লেখিত মাদ্রাসাসহ পৌর শহরের ও উপজেলা জুড়ে প্রায় পাঁচ হাজার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী কৃমির ট্যাবলেট খায় নি বলে বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে নিশ্চিত হওয়া যায়। কৃমির ট্যাবলেট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাদ্রাসার মুহতামিমরা।

এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল জব্বারের কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা(মাদ্রসা কতৃপক্ষ) যদি চাই তাহলে আমরা দিবো। তারপরও এখন গরম বৃষ্টি পড়লে দিয়ে দিবো। তিনাকে এপ্রিল মাসে কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ চলে গেছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আসলে আমি একটু ব্যাস্ত আছি পড়ে কথা বলবো।

(এস/এসপি/মে ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test