E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পর্যটন শহর বান্দরবানে পর্যটক বিড়ম্বনা

২০১৪ আগস্ট ০৬ ১৮:৫৯:২২
পর্যটন শহর বান্দরবানে পর্যটক বিড়ম্বনা

বান্দরবান প্রতিনিধি : প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড় কন্যা বান্দরবান দেশের অন্যতম একটি পর্যটন জেলা। এখানে ১১টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সহাবস্থান সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

রাজনৈতিক অবস্থান ও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেশের অন্য ৬৩ জেলার চেয়ে ব্যতিক্রম। ফলে দ্রত সময়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন স্পট। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ইপটিজিং এর মতো ঘটনা না ঘটলেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটক। একদিকে গাড়ীর অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অন্যদিকে পর্যটন স্পট গুলোতে বাড়তি প্রবেশ ফি’র এবং নিন্মমানের আবাসিক হোটেল গুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বেড়াজালে পর্যটকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও তাদের কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্যনীয় নয়। ফলে আগামী পর্যটন মৌসুমে এই শিল্পে মারাত্বক প্রভাব পড়বে বলে আশংকা করছেন ভ্রমনপিপাসু পর্যটকরা।

ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বিড়ম্বনা এড়াতে পর্যটন স্পট গুলোর অবস্থানসহ প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত ভাড়া ও ফি তুলে ধরা হলো-

নীলাচল : জেলা শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় দু’হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় নীলাচল অবস্থিত। আকর্ষনীয় নির্মাণ শৈলীর নান্দনিক স্থপনা, কাঁচের টাওয়ার, শিশু বিনোদনের নানা ধরনের ব্যবস্থাসহ রাত্রীতে অবকাশ যাপনের জন্য মনমুগ্ধকর কটেজ পর্যটকদের আকৃষ্ঠ করেছে। প্রতিদিন বিকেলে হাজারো পর্যটকের ভীড় থাকে এই স্পটে। সন্ধ্যায় এই স্পটে দাড়িয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ ও শাহ আমানত সেতুর নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায়। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল। গাড়ী নিয়ে এই স্পটে যেতে দু’দফায় গেইট ফি দিতে হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন। এক স্পটে ২ দফায় গেইট ফি আদায় পর্যটকরা বাড়তি বিড়ম্বনা বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা গাড়ী প্রতি এক দফা ফি আদায়ের দাবী জানান। ১৬ জনের ক্যাপাসিটি সম্পন্ন বি-৭০ (খোলা মহেন্দ্র জীপ) গাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা। থ্রি হুইলার সিএনজি ভাড়া ৫০০ টাকা।

মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স : বান্দরবান জেলা শহরের প্রথম নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স। শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। এখানে পাহাড়ের পাদদেশে বাঁধ দিয়ে বিশালাকারের কৃত্রিম লেক তৈরী করা হয়েছে। লেকের উপর আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত সেতু রয়েছে। এছাড়া চিত্ত বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে ক্যাবল কার, ট্যুরিস্ট ট্রেইন, শিশু পার্ক, সাফারী পার্ক, চিড়িয়াখানা, স্পীড বোটে ভ্রমনের সুবিধাসহ রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে রেষ্টহাউজ। জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পরিচালিত এই মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স এ প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৩০ টাকা। শহর থেকে বি-৭০ (খোলা মহেন্দ্র জীপ) গাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা এবং সিএনজি ভাড়া ৫০০ টাকা।

বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণ জাদী : প্রায় ১ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপত্যের অপূর্ব নির্দেশণ বৌদ্ধ ধাতু স্বর্ণ জাদী’র অবস্থান। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে এটি অন্যতম একটি তীর্থ স্থান। ধর্মীয় অনুষ্ঠানাধি ছাড়া এই মন মুগ্ধকর আকর্ষণীয় স্পটি ঘুরে দেখার জন্য সারা বছর উন্মুক্ত থাকে। জেলা শহর থেকে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে এই স্বর্ণ জাদীতে যেতে হয়। স্বর্ণের আদলে আকর্ষনীয় নির্মাণশৈলী, কারুকাজ খচিত জাদি প্রতিটি ভ্রমনপিপাসু মানুষকে আকৃষ্ট করে। জাদি পরিদর্শনে প্রবেশ ফি ১৫ টাকা। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত ভিডিও করা এবং বৌদ্ধ মুর্তি স্পর্শ করে ছবি তোলা নিষেধ। পর্যটকরা প্যাকেজ ট্যুার হিসেবে মেঘলা, নীলাচল ও র্স্বণ মন্দির এই ৩টি স্পট একসাথে গাড়ী নিয়ে ঘুরে বেড়াতে চাইলে বি-৭০ (খোলা মহেন্দ্র জীপ) গাড়ি ভাড়া নির্ধারণ রয়েছে ২৫০০ টাকা এবং সিএনজি ভাড়া ১২০০ টাকা। তবে এই ৩টি স্পট ঘুরতে সারাদিনের জন্য গাড়ী ভাড়া নিলে আপনাকে দিতে হবে বি-৭০ (খোলা মহেন্দ্র জীপ) গাড়ি প্রতি ৩ হাজার টাকা এবং সিএনজি ১৫০০ টাকা।

নীলগিরি : মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি খেলার অকল্পনীয় দৃশ্যপটের নাম নীলগিরি। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় তিন হাজার ২শ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত নীলগিরি পর্যটন স্পটের অবস্থান। হাত বাড়ালেই যেখানে মেঘ ছোঁয়া। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সড়কে ৪৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৌছাতে হয় স্বপ্নরাজ নীলগিরিতে। সেনা নিয়ন্ত্রীত নীলগিরিতে অবকাশ যাপনের সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। নীলগিরি যেতে পথে আরো ২টি পর্যটন স্পট চোখে পড়বে। প্রাকৃতিক ঝরণা শৈলপ্রপাত ও চিম্বুক পাহাড়। ফেরার পথে এই দুটি স্পট ঘুরে আসতে ভুল করবেন না। বি-৭০ (খোলা মহেন্দ্র জীপ) গাড়ি প্রশাসনের বেধে দেয়া ভাড়া ৩ হাজার ৮ শত টাকা। এ ছাড়াও ৭জন ক্যাপাসিটির পাজারো জিপ গাড়ী ভাড়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫ শত টাকা। সিএনজি ভাড়া ২২শত টাকা নির্ধারিত। তবে নীলগিরিতে গাড়ীর পার্কিং চার্জ ও প্রবেশ ফি সংশ্লিষ্ট পর্যটকদের বহন করতে হবে। পর্যটন স্পট নীলগিরি ঘুরতে গিয়ে দেখে আসতে পারেন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি ¤্রাে সম্প্রদায়ের চিরায়িত জীবনচিত্র। পথে অসংখ্য ¤্রাে জনগোষ্ঠির বসতি দৃশ্যমান। তাদের সহজসরল জীবনযাপন আপনাকে বাড়তি আনন্দ দেবে।

কিংবদন্তি বগালেক : নীল জলরাশির প্রাকৃতিগত ভাবে সৃষ্ট জলাশয় কিংবদন্তি বগালেক। পাহাড়ের উপরে সান বাঁধানো বেষ্টনিতে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে বগালেকের অবস্থান। এই লেকের পানি দেখতে নীল রঙের। সমুদ্র পৃষ্ট হতে প্রায় আড়াই হাজার ফুট উচু পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে এই বগালেক। এই লেক সম্পর্কে স্থানীয়দের নানা জনশ্রুতি রয়েছে। কয়েক শত বছর আগে পাহাড়ের চুড়ায় ক্ষুদ্র নু গোষ্ঠির ৫০ পরিবারের একটি বসতি ছিল। বৃহদাকৃতির ড্রাগন (সাপ) এর অভিশাপে পুরো পাড়াটি পাহাড়ের মাটির নীচে তলিয়ে গিয়ে এই লেকের সৃষ্টি হয়েছে। তাই স্থানীদের ভাষায় এই লেকের নাম বগা কাইন অর্থাৎ ড্রাগন পুকুর। বান্দরবান থেকে রুমা উপজেলা হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বগালেক পরিভ্রমণে যেতে হয়। এই বগালেক দর্শন করে পর্যটকরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ তজিংডং ও ২য় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ক্যউক্রাডং হয়ে সাকাহাফং ঝরণা দেখে আসতে পারেন। তবে শুস্ক মৌসুমে রুমা থেকে বগালেক পর্যন্ত চাদের জীপ গাড়ী ব্যবহার করতে পারলেও বাকী পথ পায়ে হেটে পরিভ্রমন করতে হবে।

রিজুক ঝরণা : প্রকৃতির আরেক সৌন্দর্যের রূপরানী রিজুর ঝরণা। রুমা উপজেলা সদর থেকে সাঙ্গু নদী পথে ৭ কিলোমিটার দুরে এই ঝরণার অবস্থান। প্রকৃতির ভাবে সৃষ্ট এই ঝরণায় সব সময় পানির শ্রোতধারা বহমান। প্রায় ২শ ফুট উচ্চ পাহাড় থেকে অবিরাম গড়িয়ে পড়ছে ঝরণা ধারা। রুমা থেকে ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সৃষ্টির অপার সৌন্দর্য রিজুর ঝরণা ঘুরে আসা যায়।

রাজা পাথর : থানছি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীতে রাজা পাথরের অবস্থান। সাঙ্গু নদী দিয়ে রেমাক্রী ইউনিয়নে যাওয়ার মাঝপথে বিশাল আকৃতির বড় বড় পাথরের মিলন ক্ষেত্র চোখে পড়বে। এই পাথরের ফাঁক ফোকর দিয়ে নৌকা নিয়ে পাড়ি দিতে হয়। স্থানীয়রা প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সময়ে দেবতার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেতে রাজা পাথর এলাকায় পুজা অর্চনা করে থাকেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেলরা অভিনয় করেছেন নয়নাভিরাম এই দৃশ্যপটে। চোখ জুড়ানো মনমুগ্ধকর রাজা পাথর স্পটটি এক নজর দেখার জন্য দেশ বিদেশের পর্যটকরা পাড়ি জমাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

নাফাকুম জলপ্রপাত : নায়াগ্রা সাদৃশ্য দৃষ্টিনন্দিত নাফাকুম জলপ্রপাতটি থানছি উপজেলার রেমাক্রী ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের এই জলপ্রপাত বাংলাদেশের এক অনন্য পর্যটন স্পট। থানছি উপজেলা সদর থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রেমাক্রী ইউনিয়নে যেতে হবে। রেমাক্রী ইউনিয়ন সদর থেকে নাফাকুম জলপ্রপাতের দুরত্ব ১২ কিলোমিটার। পায়ে হেটে রেমাক্রী ঝিরি বেয়ে আপনাকে এই নয়নাভিরাম স্পটে যেতে হবে। ট্যুারে সদস্য কম থাকলে থানছি থেকে রেমাক্রী পর্যন্ত যেতে নৌকা রির্জাভ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ রেমাক্রী থেকে যাওয়া আসার রিজার্ভ ভাড়া গুনতে হবে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তাই সংখ্যায় কম হলে জনপ্রতি ২শত টাকা ভাড়া দিয়ে যাত্রীবাহি যে কোন নৌকা যোগে রেমাক্রী যেতে পারেন। তবে অবশ্যই বিশ্বস্ত গাইড সঙ্গে নিয়ে যাবেন। রেমাক্রীতে রাত্রী যাপনের জন্য বেসরকারী ভাবে রেষ্ট হাউসসহ খাবারের বেশ কয়েকটি পাহাড়ী হোটেল রয়েছে।

প্রান্তিক লেক : সবুজের মাঝখানে প্রাকৃতিক লেকের নাম প্রান্তিকলেক। প্রায় আড়াই শত পাহাড়ী এলাকা জুড়ে এই লেকের অবস্থান। বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের হলুদিয়ার সন্নিকটে প্রান্তিক লেক অবস্থিত। অপূর্ব সুন্দর লেকের চারপাশ নানান প্রজাতির গাছ গাছালি ছাড়াও ঘুরে বেড়ানোর আদর্শগত একটি অপরূপ পর্যটন স্পট। গাড়ীবহর নিয়ে দলবেধে আসা পর্যটকদের পিকনিক করার সুন্দর একটি স্থান।

বান্দরবানের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পের দ্রুত প্রসারে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগ থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতা, পার্বত্য চুক্তির অসম পর্যটননীতি ও বিড়ম্বনায় শিকার পর্যটকদের হয়রানী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকার এক টিভি সাংবাদিক সিহাব জানান, পর্যটন স্পট নীলগিরির ভাড়া নেয়া হয়েছিল সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তারপর আবার ২শ টাকা বকশিস। অন্যন্যে স্পটের ভাড়াও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশী গুনতে হয়েছে। বেসরকারী পর্যটন উদ্যোক্তা সোহেল মাহমুদ জানান, সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজারে তার কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কিন্তু বান্দরবানে তার কোন হোটেল বা রিসোর্ট গড়ে তুলতে পারছেন না। পার্বত্য চুক্তির শর্ত মোতাবেক তিনি এ জেলায় কোন জায়গা ক্রয় করতে না পারায় আধুনিক মানের কোন রিসোর্ট গড়ে তুলতে পারছেন না। পর্যটনের প্রসারের জন্য এ বিষয়টি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে নেজারত ডেপুটি কালেকটর (এনডিসি) শামীম হোসেন জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভুগি পর্যটকদের কাছ থেকে সরাসরি কোন অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না। তবে এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া আছে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পর্যটকদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শ্মরণাপন্ন হওয়ার পরমর্শ দেন তিনি।

(এফবি/এটিঅার/আগস্ট ০৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test