E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অনিয়মের অভিযোগে মহাসড়কের কাজ আটকে দিলো এলাকাবাসী

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৭:৫৩:১৩
অনিয়মের অভিযোগে মহাসড়কের কাজ আটকে দিলো এলাকাবাসী

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে সড়ক ও জনপথের আওতায় নির্মাণাধীন কংক্রিটের মহাসড়কের কাজ আটকে দিলেন এলাকাবাসী।

সোমবার সকালে শিবদিঘী পাচপীর কবরস্থান এলাকায় মহাসড়কের প্রাথমিক সিসি ঢালায় দেওয়ার সময় নিন্মমানের পাথর ও বালু দিয়ে কাজ করার অভিযোগে মহাসড়কের এ কাজ আটকে দেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, নিন্ম মানের পাথর বালু ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে সড়কে গিয়ে ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে খুজলে ঠিকাদারের লোকজন প্রকৌশলী নেই জানিয়ে অফিসের পিয়ন মাসুদ তদারকির দায়িত্বে রয়েছে তার তত্বাবধানে কাজ চলছে বলে স্থানীয়দের জানান।

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মাণের সময় প্রকৌশলী উপস্থিত না থাকার ক্ষোভে এবং সড়ক নির্মাণের নির্দেশনা মুলক কাগজ পত্র দেখতে চেয়ে না পেয়ে এলাকাবাসী মহাসড়কের নির্মাণ কাজ আটকে দেন।

কাজ আটকের পড়ে সেখানে হাজির হন জেলা সড়ক জনপথের কার্য-সহকারী গিয়াসউদ্দীন তিনি জানান, আমি এ সড়কের দেখা শুনার দায়িত্বে।আর উপসহকারী প্রকৌশলী রায়হান আলী সড়কের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন।

কার্য সহকারী গিয়াসউদ্দীন নিন্ম মানের পাথর দিয়ে কাজ হয়েছে স্বীকার করে বলেন,আমি এখানে আসার আগেই তারা কাজ শুরু করেছে এবং এই নির্ন্ম মানের পাথর এ সড়কে চলবে না। আমি বিষয়টি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি।

জানা গেছে, যশোরের ঠিকাদার বাইনউদ্দীনবাসী এন্টারপ্রাইজ প্রায় ৩৪ কোটি টাকা টেন্ডারে সড়ক নির্মাণের কাজ পেয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করার জন্য গোপালগঞ্জের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এরিস্টোকেট এন্টারপ্রাইজের কাছে হস্তান্তর করেন। তারা রাণীশংকৈল-পীরগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় সাড়ে ১২ কিলোমিটারের মধ্যে দুই উপজেলার দুই পৌর শহর মিলে প্রায় ২৩ শত মিটার কংক্রিটের কাজ করবেন বলে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী রাণীশংকৈল পৌর শহরে শিবদিঘী পাচপীর থেকে বন্দর পর্যন্ত প্রায় সতের শত মিটার কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এদিকে এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার তারিক বলেন, এমন পাথর অল্প কিছু ছিলো সেগুলো সিমেন্ট বেশি দিয়ে কাজ করছিলাম। তবে এলাকাবাসী অভিযোগ করার পর সে পাথরগুলো আর ব্যবহার করা হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আল আমিন সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, বহু বছর পরে ভাঙ্গা এ মহাসড়ক নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর যোগ সাজসে সড়কে নির্ন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি, সাংবাদিকদের নিয়মের থেকেও বড় সাইজের পাথর ও বালু দেখিয়ে বলেন এগুলো কি সড়ক নির্মাণের জন্য সরকারী ভাবে কখনোই ব্যবহার করা যাবে, যাবে না। অথচ তারা ব্যবহার করছে। প্রকৌশলীর স্থানে পিয়নের উপস্থিতিতে কাজ করা হচ্ছে। এগুলো কি অয়িমের চিত্র নই।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাযহান আলীর মুঠোফোনে একাধিকার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঠাকুরগাঁও সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মুনজুরুল আজিজের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলে তিনিও সাড়া দেন নি।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test